ইরাকে ইরানের হামলার পর থেকে দুশ্চিন্তায় ইসরায়েল!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৯:০৪,অপরাহ্ন ১১ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ১৯০৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান সফলতার সঙ্গে হামলা চালানোর পর থেকে দুশ্চিন্তায় আছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দাদের ওয়েবসাইট দেবকাফাইল এটাকে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দুশ্চিন্তা বলে উল্লেখ করেছে।
দেবকাফাইলের বরাত দিয়ে ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভি জানায়, মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলার পর থেকে দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছে না ইসরায়েল। দখলকৃত এলাকাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়েও আছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে সফলভাবে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোররাতে নির্ভুলভাবে হামলা চালানোর পর থেকে প্রশংসায় ভাসছে দেশটি।
এ কারণে চূড়ান্ত দুশ্চিন্তায় রয়েছে ইসরায়েল। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও যুক্তরাষ্ট্রের মডেল অনুসরণ করেই তৈরি করা। ফলে ইরান সেগুলো ভেদ করে সহজে হামলা চালাতে পারবে। এটি নিয়ে এখন আর কোনো সন্দেহ নেই।
এমনকি ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথিসহ আশেপাশের দেশগুলোতে ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলোর কাছে প্রচুর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইরানসহ ওই সংগঠনগুলো ইসরায়েলের ওপর একসঙ্গে হামলা চালালে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাবে তেল আবিব। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত যেসব জায়গা দখল করেছে সেগুলো ছাড়তেও বাধ্য হবে তারা।
এ সম্পর্কে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দাদের ওয়েবসাইট দেবকাফাইল লিখেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছুই করতে পারেনি। আমেরিকান মডেলে তৈরি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একই অবস্থানে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোররাতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এলিট শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোররাতে সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, দেশটির বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।