দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগেই আইনজীবীর গুলিতে বার কাউন্সিল সভাপতি খুন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪০:৪৪,অপরাহ্ন ১৩ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৪২৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দায়িত্ব পাওয়ার দু’দিনের মাথায় আদালত চত্বরেই গুলি করে হত্যা করা হলো উত্তরপ্রদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি দরবেশ যাদবকে। ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্যের বার কাউন্সিলের প্রথম নারী সভাপতিকে গুলি করেন মণিশ শর্মা নামে এক আইনজীবী। খবর এনডিটিভি’র
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি আরও জানায়, আগ্রা আদালতের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন দরবেশ। সে সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মণিশ। তারপর নিজেকেও গুলি করেন তিনি। দুজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় দরবেশের। এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মণিশ।
একটি সূত্র জানিয়েছে মোট তিনবার গুলি করেন মণিশ। কিন্ত এমন কাজ তিনি কেন করলেন তা খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে আদালত চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে দাবি করে আন্দোলনের হুমকি দেন আইনজীবীরা।পাশাপাশি বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া তরফে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়েছে। আজ উত্তরপ্রদেশে আইনজীবীরা কোনও কাজ করবেন না বলেও জানায় কাউন্সিল।
মাত্র দু’দিন আগেই বার কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন দরবেশ। তারপর বুধবার তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে আগ্রা আদালত একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে গিয়ে প্রাণ চলে গেল দরবেশের।
গত সোমবার ইতিহাস তৈরি করেন তিনি। এই প্রথম উত্তরপ্রদেশের বার কাউন্সিলের দায়িত্ব পান কোনও মহিলা। কিন্তু তার দু’দিনের মধ্যেই প্রাণ চলে গেল তাঁর।
বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। কাউন্সিলের দাবি যোগী সরকারকে এই পরিমাণ অর্থ আইনজীবীর পরিবারেরকে দিতে হবে। পাশাপাশি আইনজীবীদের সুরক্ষার দায়িত্বও নিতে হবে সরকারকে।
ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে স্বাভাবিক কারণেই। রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী একযোগে বিঁধেছেন রাজ্য প্রশাসনকে।
অখিলেশ বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি এমনই যে আইনের রক্ষকরাও এখানে সুরক্ষিত নন।’ আবার মায়াবতী বলেছেন, ‘এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপির আমলে উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়েছে।’