রাস্তাঘাটে পাতলা ঢালাইয়ের নজরদারি করেন, যাতে বদনামটা যায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩১:২০,অপরাহ্ন ২১ জুন ২০২০ | সংবাদটি ১০৯৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রাস্তাঘাটে পাতলা ঢালাইয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে বলেছেন, ভালোভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করেন, যাতে বদনামটা যায়।
রবিবার (২১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভালো কাজ করছেন আপনারা। দেশের উপকার হচ্ছে। কিন্তু আপনাদের কাজের মান নিয়ে অনেক মহলে প্রশ্ন আছে। আপনারা একটু পাতলা ঢালাই করেন ইত্যাদি।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালোভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করেন। যাতে এই বদনামটা যায়।
একনেক সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো ৬ হাজার ৪৭৬ কোটি ৬৫ লাখ খরচে ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ প্রকল্প, ১৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচে ‘বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (পটুয়াখালী ও বরগুন জেলা) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ৫৫৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘হাওড় অঞ্চলে টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিটিশরা চিহ্নিত করেছিল বালুমহল। এখনও ডিসিরা ওই বালুমহল ইজারা দেন। ইতোমধ্যে নদী সরে গেছে, কিন্তু ওই জায়গায় যেহেতু বালুমহল রয়েছে। তিনি বললেন, এগুলো ঠিক নয়। আবার সার্ভে করো। যেখানে নিরাপদ সেখানে দাও। আর একজায়গায় কাটতে কাটতে গভীর হয়ে যায়, পরে পাড় ভাঙে, সেতু ভাঙে ইত্যাদি রিপোর্ট তার কাছে আছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
এছাড়া বিচারিক কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিসটেম বসানোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কারাগারের অভ্যন্তরে ভার্চুয়াল সিসটেম স্থাপন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনে মামলা মোকাদ্দমা ডিজিটালি করা সম্ভব হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জামালপুর কারাগারের প্রকল্পের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামালপুরের কারাগারে ভার্চুয়াল কোর্ট করতে হবে যাতে মামলা মোকাদ্দমা ডিজিটালি সম্ভব। শুধু জামালপুরই নয় অন্যন্য জেলা কারাগারে সার্বিকভাবে ভার্চুয়াল সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে। অনেক সময় (আসামিকে) তাকে নেয়ার দারকার নেই। ওখানে বসেই বিচার হয়ে যায় ভার্চুয়ালি। কিছু কিছু কয়েদি আছে নিরাপত্তাজনিত কারণে কোর্টে না নেওয়াই নিরাপদ। তিনি ( প্রধানমন্ত্রী) বলছেন সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিসটেম বসিয়ে দাও। জামালপুরতো করবেই অন্যান্যটাও বসাও।
কারাগারে সুযোগসুবিধা বাড়ানোর বিষয় প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যেন ফ্যান থাকে, টিভি দেখার ব্যবস্থা থাকে। আর কারাগারে যারা পণ্য তৈরি করেন তারা যেন সে পণ্য বিক্রির ৫০ শতাংশ লাভ পান। বাড়িতে যাওয়ার সময় সেটা নিয়ে যেতে পারবেন। সকল জেলেই এটা করতে হবে। সংস্কার শুধু জামালপুর নয় অন্যন্য জেলাতেও সংস্কার করতে হবে। ন্যূনতম আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যাতে যারা জেলের বাসিন্দা তারা জেন মোটামুটি মানসম্পন্নভাবে থাকতে পারে।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী তার অনুশাসনে খালকাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু পার থেকে একটু মাটি তুলেই বিল (টাকা) নিয়ে না নেওয়া হয় সে বিষয় সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজর রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধামন্ত্রী বলেছেন তার কাছে খাল কাটার নামে, পুকুর সংস্কারের নামে পাড়গুলোর খালি একটু ছেটে বিল তোলা হয়েছে- এমন সংবাদ তিনি চেক করেছেন। মন্ত্রণালয়কে বলেছেন এটা ভালো করে দেখা দরকার। কেউ যেন শুধু পারগুলোকে একটু ছেটে ভাব দেখাতে নাপারে আমি পুকুর কাটছি।