“ডালাসে ৩৭ ফোবানার উদ্ভোধন”
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২০:৩২,অপরাহ্ন ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | সংবাদটি ১৯০৯ বার পঠিত
-
জুয়েল সাদত :
বাংলাদেশীরা আমেরিকা বিনির্মানে ভুমিকা রাখছেন, ফোবানা সেখানে মাইলস্টোন।
মেয়র রিক স্টাফার
গত ১ লা সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ৩৭ তম ফোবানার উদ্ভোধনী অনুস্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইরভিং সিটির মেয়র রীক স্টাফার আরো বলেন, আমেরিকা মাল্টিকালচার কান্ট্রি, এই ডালাসে বাংলাদেশীরা সিটি বিনির্মানে ভুমিকা রাখছেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ফোবানার ইতিহাস সম্মৃদ্ব। আগামীতেও ফোবানা বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্য ব্রীজ হিসাবে কাজ করবে।
ডালাসের ইরভিং কনভেশন সেন্টারে সন্ধায় বাংলাদেশ, আমেরিকান ও কানাডার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ৩৭ তম ফোবানার উদ্ভোধনী অনুষ্টানের শুভ সুচনা হয়। দিবা সাহা, সাদমান ফারিব, ফারহানাজ রেজা,শারমিনা সোনিয়া, আর জে রাহী ও আবীর আলমগিরের যৌথ উপস্থাপনায় ফোবানার উদ্ভোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান জনাব আবু হানিফ, তিনি বলেন ফোবানা একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন, প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রো ভিসি ডক্টর বেনু রায়, তিনি বলেন বহি: বিশ্বের একটি উন্নত দেশ আমেরিকায় এই কনভেশনে আমরা সবাই বাংলায় কথা বলছি, ফোবানার মাধ্যমে শিক্ষার্থিরা অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন, যা অনুকরণীয়। ৩৭ বছরের ধারাবাহিতায় ফোবানা আজ সমৃদ্ধ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এর ফাউন্ডার সবুর খান, তিনি বলেন ফোবানা চাইলে ডেফোডিল এর সাথে এন্টারপ্রোনার তৈরীতে ভুমিকা রাখতে পারবে। ফোবানা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্কলারশীপ চালু করতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরচিালক আন্ত:র্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউশন এর জনাব হাকিম আরিফ বলেন, আমাদের মাতৃভাষাকে ফোবানা পেট্রন করছে, যা আনন্দের ও গৌরবের।
উূদ্ভোধনী অনুষ্টানে আরও বক্তব্যে রাখেন, ফোবানার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ রব চৌধুরী, ফোবানার চেয়ারম্যান ড: এহসান হিরো, ফোবানার এক্জিকিউটিভ সেক্রেটারী নাহিদুল খান সাহেল, হোস্ট কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি সামসুদ দোহা সাগর ও ৩৭ তম ফোবানার কনভেনর হাসমত মোবিন।
ফোবানার মুল উদ্ভোধনী অনুষ্টানের পুর্বে সন্ধ্যা ৬ টায় ব্লাক টাই ডিনার এর আয়োজন করা হয়। সেখানে ২০০ শত গেস্ট অংশগ্রহণ করেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিলনায়তনে গত ৩৬ বছরের ফোবানার ইতিহাস সম্বলিত একটি ভিন্নধর্মী ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর বান্টের শিল্পীরা পরিবেশন করেন কোরাস গান, ড্যান্স ড্রামা ও ওয়াশিংটন ডিসি’র কালচারাল গ্রুপ পরিবেশন করেন তাদের পরিবেশনা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী শাফিন আহমেদ, শিল্পী কনক চাঁপা, আজরিন, লিপি হোসেন, স্বপ্নিল সজীব। স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন ফরিদা খান, নাবিলা রিফাত, লাজ, দিনা সামাদ ও ইশান গিবরান।
ডালাস ফোবানার আয়োজকরা জানান, উত্তর আমেরিকার প্রায় ৬২ টি সংগঠন এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও ১৮ টি স্টেটের প্রবাসীরা উপস্থিত হয়েছেন। ৪৫ টি ভেন্ডর ছাড়াও ১৫ টি কাপড়ের স্টল অংশ নিচ্ছে।
শুক্রবার প্রথম বারের মত ফোবানার উদ্ভোধনী অনুষ্টানে ছিল প্রবাসীদের উপছে পড়া ভীড়।
শাফিন আহমদের ১৫ মিনিটের একটি অনবদ্য পরিবেশনার মাধ্যমে রাত ১২ টায় ফোবানার ১ ম দিনের অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটে। রাত সাড়ে ১২ টা পর্য়ন্ত ছিল শত শত প্রবাসীদের ভিড় মিলনায়তন জুড়ে। রাত ১ টায় হোটেল ওয়েস্টিনের একটি বলরুমে চলে নানা শহরের শিল্পীদের আড্ডা ও কোরাস গানের আসর। যা ফোবানার একটি বাড়তি আকর্ষণ। সারা দিনই ফোবানার ২৩-২৪ এর কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের নির্বাচনের ক্যাম্পেইন ছিল টক অব দ্যা ফোবানা।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি রয়েছে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা, বিষয়ভিত্তিক সভা-সেমিনার, ব্যবসা-বানিজ্য বিষয়ক আলোচনা, বই মেলা, প্রবাসী কবি সাহিত্যিকদের আকর্ষণীয় কাব্য জলসা, ব্যান্ড শো, গীতি নাট্য, ফ্যাশন শো, ইয়ুথ ফোরাম ও শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান।। থাকছে উত্তর আমেরিকার কবি সাহিত্যিকদের আকর্ষণীয় কাব্য জলসা, নারীদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিশেষ সেমিনার এবং দেশে ব্যবসার উন্নয়ন ও আমদানি রপ্তানির উপর সেমিনারসহ প্রায় ২০টির মত সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে আগামী দু’দিনে।
শনি ও রবিবারের শিল্পীদের তালিকায় হয়েছেন মিতালী মুখার্জী, ইমরান, কনা, রিজিয়া পারভীন, শাহনাজ বেলী, মুজা, নির্ঝর, রোমেল আহমদ ও মোমোসহ প্রায় ৫০জন শিল্পী।
এছাড়াও থাকবে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে থাকবে চমৎকার পরিবেশনা। উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি ব্যাবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ‘বিজনেস নেটওয়ার্ক লাঞ্চ, অভিবাসন সংক্রান্ত আইন নিয়ে আলোচনা, বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা, প্রবাসী বাঙালি সমাজে অবদান রক্ষাকারী বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদানসহ আকর্ষণীয় আয়োজন।