শফিউল আলম নাদেলের করোনা আক্রান্ত নিয়ে ধুম্রজাল!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২০:১৭,অপরাহ্ন ২৩ মে ২০২০ | সংবাদটি ৪০৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মে) বিকেলে হঠাৎ নাদেলের করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পোর্টালে সয়লাভ হয়। আর তিনি নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে নাদেলের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্যই নেই করোনাভাইরাস শনাক্তে সিলেটে স্থাপিত দুটো ল্যাবের কোনোটিতেই। তিনদিনের তথ্য বিশ্লেষণেও এমন কোনো তথ্য মেলেনি।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদের গণমাধ্যমকে জানান, জ্বর অনুভব হওয়ায় বুধবার তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে তাকে জানানো হয় তিনি করোনা পজেটিভ অর্থাৎ তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এরপর থেকে তিনি বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং সুস্থ আছেন। সিলেট বিভাগের বাসিন্দাদেরর করোনাভাইরাস শনাক্তে সিলেটে দুটো (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে প্রথম নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। আক্রান্ত বাড়তে থাকায় পরবর্তীতে মঙ্গলবার থেকে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবে শনাক্ত হন ২২ জন, বুধবার শনাক্ত হন ১২ জন এবং বৃহস্পতিবার শনাক্ত হন ৪০ জন। এই তিনদিনে ৮৪ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়াদের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের নাম তালিকায় পাওয়া যায়নি। এছাড়া গত দুইদিনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে সেই তালিকায়ও নেই নাদেলের নাম। ফলে নাদেলের করোনা আক্রান্ত হওয়া নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে নাদেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে আমি বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারব না। কারণ আমার কাছে যেসব তালিকা এসেছে সেটিতে তার নাম নেই। তবে আক্রান্ত হয়ে থাকলে পরবর্তীতে নাম সংযুক্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ওসমানী হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
সুত্র : একাত্তরের কথা