বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে করোনা শনাক্তের ‘কিট’ তৈরী বিলম্ব!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৩:৫৪,অপরাহ্ন ২৪ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৩৪৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের কারণে করোনাভাইরাস শনাক্তে টেস্ট কিটের পুরো ব্যাচটিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এজন্য নির্ধারিত তারিখে সরকারের কাছে জমা দিতে বিলম্ব হয়েছে।
তবে শনিবার (২৫ এপ্রিল) এ টেস্ট কিট অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে জমা দেবে প্রতিষ্ঠানটি। গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল কিট হস্তান্তর করা হতে পারে বলে এমনটি জানানো হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের কারণে কিটের পুরো ব্যাচটিই নষ্ট হয়ে যায়। তাদের নিজস্ব জেনারেটর চালু হতে আধা মিনিট সময় লাগে।ওই সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় কিটগুলো। সে কারণে ঘোষিত সময় থেকে তাদের পিছিয়ে আসতে হয়।
তিনি আরও বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ চেয়ারম্যান নিজে এখন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি দেখছেন। শুল্ক বিভাগ ছুটির দিনেও জরুরি ভিত্তিতে কাঁচামাল ছাড় করেছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রধান বলেন, আশা করা হচ্ছে যে, এই কিট দেয়ার পর দু-তিন দিনের মধ্যে সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। অনুমোদন পাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে এক লাখ কিট দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
কোভিড-১৯ ডট ব্লট প্রজেক্টের আওতায় গণস্বাস্থ্য প্রথম দফায় এক লাখ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল ও তার দল যে কিটটি উৎপাদনের চেষ্টা করছেন সেটি ১৫ মিনিটে ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা নির্ণয়ে সক্ষম। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৭২ ঘন্টা পর এই কিটটি তা শনাক্ত করতে পারবে।
এর আগে গণমাধ্যমকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন, এই কিটের কার্যকরিতা বিদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের রক্তের নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ জনের রক্তের নমুনা প্রয়োজন। তাহলে আমরা ল্যাবে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব। আমরা চাই সরকার করোনা আক্রান্ত পাঁচজন রোগীর কয়েক সিসি করে রক্ত দিয়ে আমাদের সহায়তা করুক।
তিনি জানিয়েছিলেন, উৎপাদনে যাওয়ার আগেই এই কিটের বিশ্বব্যাপী চাহিদা তৈরি হয়েছে।
এই কিটের জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে চাহিদার কথা জানিয়ে অনুরোধ এসেছে।