দশদিনের কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছে দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৫:০৭,অপরাহ্ন ২৫ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৫৪৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দেশকে দশদিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, চীন কীভাবে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলা করেছে, সেটা আপনারা জানেন এবং দেখেছেন। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষকে তারা কোয়ারেন্টিনে রেখেছে। আমাদের দেশও ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছে।
বুধবার (২৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) কাছ থেকে পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে, পুলিশ মাঠে আছে। আমার আহ্বান থাকবে, এ সময়টাতে সবাই ঘরে থাকবেন এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন। এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সবাইকে বাসায় থাকার জন্য।
ছুটি দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) খুবই সংক্রামক। এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে। যে যার বাড়িতে থাকলে, এটার সুফল পাওয়া যাবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যাবেন না। সবাই যদি সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব পরামর্শ মেনে চলে, তাহলে এটা সুফল বয়ে আনবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলায় ৫টি করে হট লাইন চালু করা হচ্ছে। ফলে আমাদের হট লাইনের সংখ্যা হবে ৩৫০টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ১৭টি হট লাইন নম্বর ছিল, এখন সেটা ৫৭টিতে উন্নীত করা হয়েছে। এতদিন আমরা একটি ল্যাবে কাজ করছিলাম। এখন ১০টি ল্যাব বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ও প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে এই ল্যাবগুলো চালু হয়ে যাবে। এই ১০ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কোনো রোগী গেলে, তাদের যেন ফেরত না দেওয়া হয়। ডাক্তার ও নার্সদের বলব— আপনারা স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া থেকে পিছপা হবেন না। আপনারা যথাযথ নিরাপত্তা-সুরক্ষা নিয়ে এরপর সেবা দেবেন। আমরা চাই, দেশের বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলো যেন আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলে।এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা সেবা থেকে পিছপা হলে জাতির কাছে অন্যরকম একটা বার্তা যায়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কুর্মিটোলা হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করব। এখানে অনেক জায়গা আছে। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাও আছে। প্রতিটি জেলায় একটি করে অ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত থাকবে শুধু কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বহন করার জন্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।