জলবায়ু মোকাবেলায় ‘সেরা শিক্ষক’ বাংলাদেশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৩:৩৭,অপরাহ্ন ১০ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ২২৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: জলবায়ু মোকাবেলায় বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে মানছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বাংলাদেশকে ‘সেরা শিক্ষক’ হিসেবে দেখছেন।
বুধবার ঢাকায় ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সাবেক জাতিসংঘ প্রধান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বে যে আলোচনা তাতে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে বলা হচ্ছে, তার একটি বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সাগরের উচ্চতা মাত্র এক মিটার বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ ভূমি সমুদ্রে তলিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শুনতে এসেছি। যারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাথমিক শিকার তারা আমাদের সেরা শিক্ষক। আশা করি তারা আমাদেরকে তাদের অভিজ্ঞতা জানাবেন।’
তবে বাংলাদেশ বহু প্রকল্পে ক্ষতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এর কিছু নিজস্ব অর্থায়নে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও মিলছে। তবে সেটা প্রত্যাশিত নয়।
বান কি মুন বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের তুলনায় নাজুক পরিস্থিতিতে আছে। কিন্তু তাদের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা নেই। এ কারণে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বলেন, ‘২০০৯ সালে জাতীয় অভিযোজন কর্মপরিকল্পনা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হয়েছিল।
জলবায়ু মোকাবেলায় অনুশীলনে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে নেতৃত্ব অর্জন করেছে তা অলৌকিকের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের মারাত্মক প্রাণহানির সাথে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ফনির তুলনাও করেন মুন। বলেন, সঠিক সময়ে আবহাওয়া পূর্বাভাস, কমিউনিটিভিত্তিক পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা ও সাইক্লোন সেন্টারের কারণেই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পূর্বে ১৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় একটি অভিযোজন পরিকল্পনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আগ্রহও প্রকাশ করেন বান কি মুন।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন মুন। বর্তমানে তিনি ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সফরে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের কর্মসূচি আগেই ঠিক করা হয়।