রুমে ঘুমানো নিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারামারি!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৯:০৮,অপরাহ্ন ১৪ এপ্রিল ২০১৯ | সংবাদটি ৮৮০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: রাতে রুমে ঘুমানো নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গণরুমের লাইট নিভিয়ে ৪ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রুমে ঘুমানোর জায়গা নিয়ে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে ধরে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার গণরুমের ২০০৫ নম্বর কক্ষে ঘুমানোর জায়গাকে কেন্দ্র করে হলের ১ম বর্ষের ছাত্রদের মাঝে হাতাহাতি হয়। পরে হলটির আবাসিক শিক্ষক এবং হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সামনে এর মীমাংসা হয়। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার রাত ১২টার সময় গণরুমে লাইট বন্ধ করে মারধর করা হয় বলে জানা যায়।
ঢাবির ২০১৪-১৫ বর্ষের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ছাত্র মেহেদী হাসান সুফি, ২০১৭-১৮ বর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিয়াজ আহমেদ ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের বাদশাহ আলমগীর পলাশের উপস্থিতিতে মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের মমতাজ জিন্নাত সাগর, শাহরিয়ার হাসান কল্লোল, গণিত বিভাগের আশরাফ আলী, শরিফ ইফতেখার অভি ও পরিসংখ্যান বিভাগের আবীর হাসান কয়েকজনকে মারপিট করে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী মেহেদী হাসান সুফি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একজনের নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। তবে, আমি তাকে চিনি না। তখন আমি উপস্থিত সবাইকে বললাম, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এ ঘটনায় আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।’
মেহেদী হাসান আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি সনজিত দাদার রাজনীতি করি, সেহেতু আমি এ বিষয়ে মিথ্যা বলতেই পারি। তাই আপনি অন্যদের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, আমি এ ঘটনায় জড়িত ছিলাম কিনা।’
উল্লেখ্য, এর আগেও হল ছাত্রলীগের উপ গ্রন্থনা-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সুফির বিরুদ্ধে কক্ষে ইয়াবা সেবনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
এ ঘটনার পর হলের প্রাধ্যক্ষ কক্ষটি সিলগালা করে দেয়। এছাড়াও আহত ছাত্রদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ও তাদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. অলিউর রহমান গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘ওই কক্ষটিতে আগেও সমস্যা হয়েছিল। সবদিক বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি সভা করে কক্ষটি সিলগালা করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
মারপিটের শিকার ওই ৪ শিক্ষার্থী হলেন, গণিত বিভাগের আরিফ মৃধা তনিম ও রবিন, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের সাঈদ আল নোমান ও ইকরামুল। তাদের মধ্যে আরিফ মৃধা তনিমের নাক ফেটে যাওয়ায় তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।