‘ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল`, এবার গ্রাহকের মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১১:১০,অপরাহ্ন ২৮ জুন ২০২০ | সংবাদটি ১৩৭৬ বার পঠিত
ইমরান আহমদ:: করোনা মহামারিতে বাড়ি বাড়ি না গিয়েই মনগড়াভাবে বিদ্যুতের বিল তৈরী করেছিল পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। প্রায় প্রতিটি বিলেই অতিরিক্ত বিল ধরা হয়েছিল। যা দেখে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ আর অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল।
একদিকে মহামারিতে ঘরবন্দি দেশের সকল মানুষ। অন্যদিকে কর্মহীন হয়ে পড়া অনেকে সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সাধারণ গ্রাহকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্ষোভ প্রকাশ পেলে টনক নড়ে সরকার ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর ও কোম্পানির বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি সভায় জানানো হয়, বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে গ্রাহক ভোগান্তির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী ৭ দিনের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও কোনও অবস্থায় অতিরিক্ত বিল না নেয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে।
এদিকে, রবিবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ তাদের সকল গ্রাহকের মোবাইলে একটি ক্ষুদে বার্ত প্রেরণ করে। যেখানে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটারের রিডিং গ্রহণ সম্ভব হয়নি। ফলে অনেক গ্রাহকের অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে তা সমন্বয় করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জুনের মধ্যে বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিল পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধও জানানো হয় ক্ষুদে বার্তায়।
গ্রাহকদের মোবাইলে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পাঠানো ক্ষুদে বার্তাটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
`সম্মানিত গ্রাহক, করোনার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করে ঘরে ঘরে গিয়ে মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রকৃত রিডিং গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় গড় বিল করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিল করার অভিযোগ রয়েছে যা আমলে নিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছি এবং এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দোষীদের শাস্তি দিব। এ জন্য আমি দুঃখিত। ৩০ জুনের মধ্যে বিলম্ব মাশুল ব্যতিত প্রকৃত বিল প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি। চেয়ারম্যান, আরইবি।পক্ষে-সিলেট পবিস-১‘