মামলা রেকর্ড না করায় ৩ দিনেও দাফন হয়নি গৃহবধূর লাশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৩:০১,অপরাহ্ন ২৩ মে ২০২০ | সংবাদটি ৪৩৪ বার পঠিত
ঝালকাঠি থেকে সংবাদদাতা:: ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্রাগড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ঘাতক কুদ্দুস হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রেকর্ড না হওয়ায় ৩ দিন অবিবাহিত হলেও নিহত রুনা লায়লার মৃতদেহ দাফন করেনি বিক্ষুব্ধ পরিবার।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী শুক্রবার (২২ মে) বিকেল ঝালকাঠি-রাজাপুর প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে নিহতের স্বামী ও ঘাতক ইউপি সদস্য কুদ্দুস হোসেনের বিচার দাবী জানালেও থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে শুক্রাগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ তার পুত্র শাহীন মৃধাসহ প্রভাবশালী এক নারী নেত্রী থানা পুলিশের উপর প্রভাব বিস্তার করছে। তাই রাজাপুর থানা পুলিশ যতোক্ষন মামলা গ্রহন না করবে ততক্ষণ তারা গৃহবধূ রুনার লাশ দাফন করবে না।
পুলিশ ও গৃহবধূর স্বজনরা জানায়, রুনা লায়লা (২৬) নামের ওই নারী রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস হোসেনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্বামীর বাড়িতে রাজাপুরের এলাকার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে নিজ শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গৃহবধূ দুই সন্তানের মা এবং একই উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহশংকর এলাকার মো. নুর হোসেন গাজীর মেয়ে। ইউপি সদস্য কুদ্দুস এর শ্বশুর বাড়ির সাথে তার সম্পর্ক ভাল না থাকায় বাবার বাড়িতে গৃহবধূর যাতায়াত বন্ধ ছিল।
ইউপি সদস্য কুদ্দুসের দাবী স্ত্রী রুনা লায়লা তার কাছে বাবার বাড়ি যাওয়ার আবদার করে। এতে কুদ্দুস স্ত্রীকে ধমক দিয়ে ঘরের বাইরে যায়। কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে শয়ন কক্ষে স্ত্রীকে ওড়না গলায় জড়িয়ে আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তিনি থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা প্রশ্নই ওঠেনা, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক।
এদিকে মৃত রুনার পিতা মো. নুর হোসেন গাজী ও তার স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য কুদ্দুস রুনা লায়লাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। বৃহস্পতিবারও তাকে পিটিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। শুক্রাগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক মৃধা ও তার পুত্র শাহীন মৃধাসহ প্রভাবশালী এক নারী নেত্রীসহ প্রভাবশালী একটি মহল হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে ধামাচাপা দেয়ার জন্য পুলিশের উপর প্রভাব বিস্তার করছে।
তাই শনিবার রাত পর্যন্ত রাজাপুর থানা পুলিশ তাদেরদেয়া লিখিত অভিযোগ এজাহার হিসাবে রেকর্ড করেনি বলেও অভিযোগ করে নিহতের পরিবার।