নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৩:৫১,অপরাহ্ন ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৪২৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থী সামিউল আলীম চৌধুরীর জহুরী মহল্লার বাসভবনের নিচে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবারসহ স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এর পূর্বে দুপুরে গুলশানের ফজলে রাব্বি পার্কে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী জনসভায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. নাছির ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদুর রহমান দুলালের কর্মীদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, বুধবার রাতে জহুরী মহল্লায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সামিউল আলীম চৌধুরীর বাসার নিচে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত সেখানে যায়। এর আগে অস্ত্রসহ আটক ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ইসলাম রাব্বিকে লোকজন গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।
এ ছাড়া আরো চার-পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সামিউল আলীম চৌধুরীর পক্ষ থেকে অস্ত্র আইন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়েছে। আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নূরুল ইসলাম রতনের পক্ষও একটি অভিযোগ করেছে।
সামিউল আলীম চৌধুরী বলেন, তার জনপ্রিয়তা দেখে পরাজয় নিশ্চিত জেনে রতনের নির্দেশে তার ভাই লতিফ ও রাব্বির নেতৃত্বে ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়। দিনে ওদের মিছিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এরপর রাতে ৫০-৬০টি মোটরসাইকেল নিয়ে তারা আসে এবং রাব্বি অস্ত্র উঁচিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। ওই সময় তার স্ত্রীসহ কয়েকজন আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে ছিল। তারা সাহস করে রাব্বিকে রিভলবারসহ আটক করে। মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাব্বির বিরুদ্ধে আগেও অস্ত্র ও মাদকের মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম রতন বলেন, ‘আমি ঘটনা ভালো জানি না। বর্ধিত সভায় ছিলাম। আমার লোকজন এই হামলা চালায়নি। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে হয়েছে।’
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গুলশানের ফজলে রাব্বি পার্কে ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের সমাবেশ চলছিল। এ সময় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদুর রহমান দুলালের কর্মীরা প্রবেশ করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আতিক সমাবেশ থেকে বের হয়ে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের দিকে চলে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সমাবেশস্থলের চেয়ার নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে আক্রমণ করে।
জাহিদুর রহমান দুলাল বলেন, ‘আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নাছিরের লোকজন হামলা চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। গুলশান থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’ হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. নাছিরের বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
জানতে চাইলে গুলশান থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘ওই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। নিজেদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের সমর্থন পান জাহিদুর রহমান দুলাল। পরবর্তী সময়ে তাকে বাদ দিয়ে বর্তমান কাউন্সিলর মো. নাছিরকে সমর্থন দেয় ক্ষমতাসীন দলটি।