মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দখল হয় ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাব!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২৯:১৩,অপরাহ্ন ০৯ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৪০৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৭ সালে দখল করা হয় রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাব। বসানো হয় ক্যাসিনো। যার নেতৃত্বে ছিলেন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগ ও ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন।
ক্লাবটির সাবেক সভাপতির দাবি, নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যবহার করা হয় ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবকে। যাদের কারণে ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটির ইমেজ হয়েছে ধ্বংস।
ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসিরুদ্দিন মল্লিক পিন্টু বলেন, যে দলের জন্য প্রত্যেকটা সময় রাজপথে আন্দোলন করেছেন। সেই দল ক্ষমতায় থাকাকালীন ভাবতেও পারিনি আমাকে এভাবে অপমানিত হতে হবে। তাই সেদিন রাগে দুঃখে ছেড়ে চলে আসি।
মতিঝিল পাড়ার ক্লাবগুলো কীভাবে রাজনৈতিক পেশীশক্তির ছত্রছায়ায় একের পর এক হয়েছে বেদখল, মনখারাপের সেই গল্পটাই বলছিলেন ক্লাবটির সাবেক সভাপতি নাসিরুদ্দিন মল্লিক পিন্টু।
বলছিলেন ঠিক কীভাবে ২০১৭ সালে রীতিমত ফিল্মি স্টাইলে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে খালেদ মাহমুদ সেদিন দখল করেছিলেন ফকিরাপুল ক্লাব। বানিয়েছেন ক্যাসিনোর স্বর্গরাজ্য।
দেশের ফুটবলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস যেন এক আক্ষেপের নাম। ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠা। অথচ প্রথমবারের মতো তারা পেশাদার লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ২০১৭/১৮ মৌসুমে। কিন্তু আর্থিকভাবে অক্ষম এ অযুহাতে সেবার দেশের সর্বোচ্চ ঘরোয়া লিগে অংশ নেয়নি তারা।
অথচ মতিঝিল পাড়ায় যে ক্লাবগুলোতে চলতো ক্যাসিনোর ব্যবসা, তাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি আয় হতো ফকিরাপুলের। পরিমাণটা প্রতিদিন ছিল দেড় কোটি টাকার বেশি। যে আয়ের সিংহভাগ যেত খালেদ মাহমুদ আর সাব্বির হোসেনের পকেটে।
ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসিরুদ্দিন মল্লিক পিন্টু বলেন, ‘আসলে তালাতো ক্লাবে ঝুলছে না। তালা ঝুলছে বুকে।’
আমিন-রানা-আজগর-জালাল-আসিফ-হাসান আল মামুন কিংবা গোলাম রব্বানি ছোটন। একসময় দেশের ফুটবলের বড় পাইপলাইন ছিল এ ফকিরাপুল ইয়ংমেনস। অথচ গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী লোকের জন্য আজ ক্লাবটির ইমেজ সংকটে মুখে।
ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের সাবেক ফুটবলার গোলাম রব্বানি ছোটন বলেন, ‘আমি যেভাবে ওখান থেকে উঠে আসছি। সেভাবে আরো অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে আশা করি।’
তাইতো সাবেক আর ক্লাব সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, যে সব ক্লাবের বিরুদ্ধে উঠেছে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির অভিযোগ তাদের পরিচালনা পর্ষদ দেয়া হোক ভেঙ্গে। মূল্যায়ন করা হোক সত্যিকারের সংগঠকদের।