দলের ভাঙনের মুখেই জাপার কাউন্সিল ঘোষণা!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৬:৩৪,অপরাহ্ন ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২১৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচন এবং এরশাদের শূন্য আসনে প্রার্থী কে হবেন এটা নিয়ে যখন দল ভাঙনের মুখে, ঠিক তখনই দলের কাউন্সিলের ঘোষণা দিলেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি জানিয়েছেন আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল হবে। দলের প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক সভায় জিএম কাদের এ কথা জানান। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য এয়ার আহমদ সেলিম জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। এ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যাওয়ার আগে ছোটভাই জিএম কাদেরকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। যা নিয়ে দলের দুই গ্রুপের মধ্যে মনস্তাত্বিক লড়াই শুরু হয়। এরশাদ মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও তার চেহলাম শেষে মাঠে নামেন কাদের ও রওশনপন্থী নেতারা।
নিজেকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করতে স্পিকারকে চিঠি দেন জিএম কাদের। তার চিঠির একদিন পর স্পিকারকে চিঠি দেন রওশন এরশাদ। তার দাবি, তিনিই হবেন বিরোধীদলীয় নেতা। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে জাপার একটি অংশ। এরপর থেকে জাতীয় পার্টির বিভক্তি প্রকাশ্যে চলে আসে।
অনুষ্ঠানে দলের বিভক্তির দিকে ইঙ্গিত করে জিএম কাদের বলেন, ‘কাউন্সিলে দলের নেতাকর্মীরাই পার্টির আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। নেতাকর্মীরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তা মেনে নেব।’
এরশাদের ছোট ভাই বলেন, ‘পদ-পদবি বা ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য আমি রাজনীতি করি না। দেশ, দেশের মানুষ ও পার্টির জন্য আমাদের রাজনীতি। কোনো লোভ-লালসার জন্য আমাদের রাজনীতি নয়।’
জি এম কাদের বলেন, ‘সারাদেশে দলকে আরও শক্তিশালী করতে আট বিভাগে আটটি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়েছে এবং সাংগঠনিক টিমের পরার্মশ অনুযায়ী দলকে আরও বেগবান করা হবে।’
দলের ভাঙন প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে বিভেদের অবকাশ নেই। বিভ্রান্তিরও কোনো সুযোগ নেই। বিশৃঙ্খলার সুযোগ পার্টিতে থাকবে না। সঠিক পথে ও সুশৃঙ্খলভাবে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এন.এম. শফিকুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।