আট মাস থেকে বন্ধ জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০৬:৫২,অপরাহ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪১২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আট মাস থেকে বন্ধ রয়েছে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে মালামাল আমদানী-রপ্তানি। এই ৮ মাসে সরকার প্রায় ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটি চালু হয়। চালু হওয়ার পর থেকে এ স্টেশন দিয়ে মুলিবাঁশ, টমেটো, পান, আদা, কমলা, সাতকরা, আঙ্গুরসহ দেশীয় অনেক কাঁচামাল আমদানী-রপ্তানি হতো। চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে সব ধরনের মালামাল আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে অর্ধশতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারও প্রায় ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ স্টেশন থেকে সরকার প্রতি বছর ৩০-৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতো। কিন্তু চলতি বছর এ পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাস্টমস ঘাটটি জনমানবশূন্য। ৫-৬ জন পর্যটক ছাড়া তেমন কোনো মানুষের আনাগোনা নেই। অফিসাররা অলস সময় কাটাচ্ছেন। কয়েকজন শ্রমিক জানান, এখানে কোনো মালামাল আমদানী-রপ্তানি না হওয়ায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছি এবং অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
জকিগঞ্জ আমদানী ও রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক জানান, মুলিবাঁশ, টমেটো, পান, আঙ্গুর এ মালগুলো ভারত থেকে আমদানী করার জন্য গেজেটে না থাকায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার এসব দ্রব্য আমদানী না করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে এ স্টেশনে আমদানী-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা খরচ বেশি হওয়ার কারণে এ স্টেশন দিয়ে মালামাল আমদানী বা রপ্তানি করতে অনিহা দেখাচ্ছেন। আমরা বারবার ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেও এর কোনো সমাধান পাচ্ছি না। এভাবে আমদানী-রপ্তানি বন্ধ হলে একসময় হয়তো এ স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।