সাবেক অর্থমন্ত্রীর শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ নৈতিক বিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ: টিআইবি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৪৩:৩৪,অপরাহ্ন ২৬ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩৮৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ নৈতিক বিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রবিবার (২৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে শুল্কমুক্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইতিপূর্বে এমপি এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে আবুল মাল আব্দুল মুহিত শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ করেননি। কিন্তু বর্তমান সংসদে তিনি এমপি না হয়েও শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ নৈতিক বিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাঁর সুনামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না। এ সুবিধা গ্রহণ না করে নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানানো হয় টিআইবি’র বিবৃতিতে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, এনবিআর কর্তৃক শুল্ক-করাদি অব্যাহতির এ বিশেষ আদেশটি যৌক্তিক বিবেচিত হলেও সংসদ সদস্য না হয়ে এ ধরণের সুবিধা গ্রহণ নৈতিক দিক থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্বচ্ছতা ও সুনামকে প্রশ্ববিদ্ধ করবে। অন্যদিকে ভবিষ্যতে অন্যান্যদেরও এ ধরণের সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। সেক্ষেত্রে এটি একটি চর্চায় রূপান্তরিত হতে পারে। এর আগে সাবেক এ অর্থমন্ত্রী স্বতপ্রণোদিত হয়ে তার ব্যক্তিগত সম্পদ বিবরণী ও আয়কর তথ্য প্রকাশ, শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা গ্রহণ না করা ইত্যাদির জন্য রাষ্ট্রীয় পদে থেকে সুনাম অর্জন করেছেন। অবসর মেয়াদে উল্লিখিত বিশেষ সুবিধা গ্রহণ নৈতিকভাবে সাবেক অর্থমন্ত্রীর অর্জিত সুনামের সাথে মানানসই হবে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে আরো বলেন, শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি সংসদ সদস্যদের জন্য এমনিতেই একটি বিতর্কিত সুবিধা। তদুপরি গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার মত কোনো পদে না থেকে এ সুবিধা গ্রহণের উদাহরণ স্থাপন করে ভবিষ্যতে-এর অপব্যবহারের ঝুঁকি সৃষ্টিতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন থেকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বিরত থাকবেন বলে দেশবাসী তার নিকট আশা করে।
উল্লেখ্য, এনবিআর’র জারিকৃত বিশেষ আদেশে পরপর দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ সুযোগ গ্রহণ না করার যুক্তিতে ‘বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে শর্তসাপেক্ষে এ সুবিধা’ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপি ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিগত সরকারের শেষ সময়ে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা চেয়ে অবেদন করেন।