গোবিন্দের নাম না বলায় ১৮ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অন্ধকার!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৫:১১,অপরাহ্ন ১৫ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৭০৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তরপত্র জালিয়াতির দায়ে ১৮ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছে বরিশাল বোর্ড। এছাড়া তারা পরবর্তী তিন বছরের জন্য পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতিও পাবে না বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম।
তবে তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ উত্তরপত্রে জালিয়াতিতে বরিশাল বোর্ডের কর্মকর্তা গোবিন্দের নাম না বলায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
বুধবার (১৪ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ ও শাস্তির ৪২ নম্বর আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ১৮ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মাহাবুব আলম।
তিনি বলেন, এইচএসসির ফল প্রকাশের দিনে আমাদের সন্তানদের ফল প্রকাশ করা হয়নি। এরপর ১৮ জুলাই শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৪ জুলাই শিক্ষা বোর্ডের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভার পরে ১৮ শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু ফল প্রকাশ না করে ওই পরীক্ষার্থীদের ৫ আগস্ট শিক্ষা বোর্ডে ডাকা হয়। সেখানে বোর্ড চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তারা জানতে চান, উচ্চতর গণিত প্রথম পত্রে এসব পরীক্ষার্থীরা কীভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, কেন অধিকতর নম্বর পেয়েছে এবং বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের কোনো সখ্যতা রয়েছে কি না। এ সময় শিক্ষার্থীরা কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে।
এ সময় শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করে অভিভাবকরা। তারা জানায়, বোর্ড কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয় যে, তারা যদি বোর্ডের গোবিন্দের নাম না বলে তাহলে তাদের রেজাল্ট বাতিল করা হবে। এমনকি এক পরীক্ষার্থী নুসরাতকে লিখিত দিতে বাধ্য করে যে, গোবিন্দকে দিয়ে তারা অসদুপায় অবলম্বন করেছে। এরপরেও ওই শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়নি।