ধর্ষণ সমাচার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৭:২৫,অপরাহ্ন ০৮ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৬৭১ বার পঠিত
বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল
আজকাল পশ্চিমা বিশ্বের মতই আমাদের দেশেও নানাবিধ অশ্লিলতা ও চরিত্রহীনতা সীমা অতিক্রম করেছে । পশ্চিমা মিডিয়া ও পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত পাশ্ববর্তী দেশগুলো মিডিয়ার (স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল,ইন্টারনেট) মাধ্যমে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালাচ্ছে । এর প্রভাব আমাদের দেশের মিড়িয়াতেও পড়েছে । আমাদের দেশের মিডিয়া (টিভি চ্যানেল) গুলোও এখন বিজাতিও ধাচে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে । নাচ-গান,সুন্দরী প্রতিযোগি,অবৈধ প্রেম-পরকিয়া ও যৌন শূড়শূড়ি সম্বলীত নাটক -সিনেমা ও বিজাতীয় রূস্মো-রেওয়াজ সম্প্রচারের মাধ্যমে শিশু-কিশোর,যুবক-যুবতি,বৌ-ঝি এমনকি বয়স্ক মানুষের মনে ধর্ম বিমূখতা ও চরম অশ্লিলতা,শিরকি,কূফরি ধ্যান-ধারনা ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।
যার বাস্তব প্রতিফলন আমরা রাস্তা-ঘাটে বের হলে দেখতে পাই । জন্তু-জানোয়ারের মত প্রকাশ্যে দিনের বেলায় যুবক-যুবতীদের অবাধ ও বাধভাঙা মেলামেশা আর ধর্ষণের খবর এখন সবখানে দেখা যায় । হিন্দি আর কলিকাতার পরকিয়া আর বিকৃত যৌনাচার সম্বলীত নাটোক-সিরিয়াল দেখে এদেশের বৌ-ঝি’রাও যারপনাই অনুপ্রাণিতও হতবিহম্বল হয়ে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ছে । যুবকদের চরিত্র ধ্বংস করে ইভটিজিং, ধর্ষণ আর লিভ2গেদার,সমকামীতার মত জঘন্য ও নোংরা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে ।
এবার মূল বিষয়ে আসা যাক বর্তমানে বিবাহ বহির্ভূত প্রেম-ভালবাসা ও অবৈধ যৌনাচার ক্যান্সারের মতই গোটা জাতীকে গ্রাস করতে বসেছে । আজকাল Boyfriend বা Girlfriend না থাকলে তাকে Back Dated,সেকেলে,বলে তিরষ্কার করা হয় । Boyfriend বা Girlfriend যেন এক Fashion এ পরিনত হয়েছে । লিটনের Flat এ বা প্রেমিকের মেস এখন অবিবাহীত বেদীন নষ্টা যুবতিদের কামলিলা কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে l ছেলে বন্ধু বা মেয়ে বন্ধুকে করা এখন গর্বের সাথে বলে বেনো হচ্ছে । এক বা একাধিক BF বা GF না থাকলে আজকাল নিজেকে Smart ও Modern হিসাবে উপস্থাপন করা যায় না । অপকর্মের পর অবৈধ গর্ভধারন ও অকাম-কুকাম ধামা চাপা দিতে শিশু হত্যা এখন অহরহ ঘটছে । ব্যাঙের ছাতার মত কিছু গজিয়ে ওঠা ক্লিনিক এসব গর্ভপাতের আঙ্জাম দিয়ে কোটি-কোটি টাকা কামাই করে চলেছে ।
পারিবারীকভাবে ইদানিং যুবক-যুবতিদের এসকল অবৈধ কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয় । আজকালকার বাবা-মা বলেন ছেলে পুলে মানুষ একটা-দুটা মেয়ে বন্ধু বা ছেলে বন্ধু থাকতেই পারে । এখন তো এসব করারই বয়স । ওদের বয়সে আমরাও কত কিছু করেছি । আর একটু বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে সম্তান আরো দায়িত্বশীল ও বাস্তববাদী হবে । নিজের জন্য উপযুক্ত জীবন সঙ্গি যাচাই বাছাই করে নিজেই খুজে নিবে !!
ধিক শত ধিক এমন বাবা-মা ও পরিবারকে এমন সমাজকে যারা তাদের সন্তানদের অশ্লিতা আর চরিত্রহীনতার আনন্দে আত্বহারা । তাদের অপকর্ম আর ধর্ম বিমূক্ষতাকে Support করে আধুনিক সাজার চেষ্টা করে বেড়ায়।তাই ধর্ষণ দিন দিন বাড়ছে আমাদের নারী শাসিত বা নারী প্রধান এই দেশে! বাদ পড়ছে না কেউই। কি মা, কি মেয়ে, কি যুবতি, কি প্রৌড়া, কি কিশোরী, কি শিশু! কখনো আপন, কখনো পর, কখনো পিতা বা ছেলের হাতে! কখনো মা-মেয়েকে একসাথে, কখনো পিতার সমনে মেয়েকে, কখনো ভাইয়ের সামনে বোনকে! ভাবতেই গাঁ শিউরে উঠে। বাড়ীতে, গাড়ীতে, স্কুল-কলেজে, রাস্তাঘাটে, পার্কে, যত্রতত্র নারী নিগ্রহের শিকার! যার সবটুকুই সম্পাদন হয় আমাদের চোখের আড়ালে! কেমন অসভ্য হয়েগেছি আমরা।ইদানিং প্রায়ই সংবাদ পাই, চলন্তগাড়ীতে ধর্ষণ, সন্ত্রাসী ধর্ষণ করে, নেতা ধর্ষণ করে, ছাত্র ধর্ষণ করে, স্কুল শিক্ষক ধর্ষণ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ধর্ষণ করে, হুজুর ধর্ষণ করে, ডাক্তার গাড়ীর ধর্ষণ করে, হেলফার ধর্ষণকরে, ড্রাইভার ধর্ষণ করে …! গাড়ীতে ধর্ষণ, বাড়ীতে ধর্ষন, হোটেলে ধর্ষণ, স্কুলে ধর্ষণ, কলেজে ধর্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ,মাদ্রাসায় ধর্ষণ, বাজারে ধর্ষণ, পাহাড়ে ধর্ষণ, নৌকায় তুলে মা -মেয়েকে ধর্ষণ, নির্জন পথে বা ট্রেনে ধর্ষণ —! কোথায় ধর্ষণ হচ্ছে না নারী ?
যাই হউক এদেশের আধুনিক শিক্ষিত মানুষগুলি আমাদের হতাশ করলেও আমাদের আশার আলো জ্বালাতেন ধর্মিয় শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষগুলি। আমাদের সমাজে ধর্মকর্মে জড়িত মানুষগুলির প্রতি ছিল আলাদা রকম শ্রদ্ধা।ইদানিং এই সমাজেও নৈতিক স্কলন শুরু হয়েছে। এবার আমি এদেশের কিছু ধর্মজীবি ও পথভ্রস্ট হুজুরদের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনা আলোচনা করতে চাই।যারা ধর্মের লেবাস পরিধান বিভিন্ন ধরণের ধর্মহীন কাজ করছে।
.❏ এক,
মাওলানা, বক্তা, ইমাম, দাঈ, দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী এই শব্দগুলির সাথে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক! আবেগের চূড়ায় সীমায় এই শব্দগুলির বসবাস। খুব সম্ভবত জাতি হিসেবে আমরাই আলিমদের সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা – সম্মান করি। আবার ধর্মীয় লেবাসে সবচেয়ে বেশী লুটেরাও হল এই মোল্লা-সমাজ।
.
কল্পনা করে দেখুন, একজন মানুষ শুক্রবারে জুম’আর নামাজ পড়ান। তার বয়ান শুনার জন্য আমরা আধা ঘন্টা পূর্বে মসজিদে হাজির হই। মিম্বারে দাঁড়িয়ে যিনি আমাদের মত জাহিলদের আলোর পথ দেখান। জেনা – ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে আল্লাহর আজাবের ভয় দেখান। সেই মানুষটাই যখন এক ডজন নারীর সাথে অবৈধ কর্মে লিপ্ত থাকেন তখন প্রেরণার বাতিঘর বলতে কিছু থাকে কি!?
দাওরায়ে হাদীস, মুহতামিম সাহেব আল্লাহর কিতাব তথা কুরআন শপথ করিয়ে, জাহান্নামে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ইজ্জত লুটছে ৮ থেকে ১১ বছরের কোমলমতি ছাত্রীদের! ভাবুনতো, কোথায় আছি আমরা! যদি ঐ সাহসী বীরাঙ্গনা সেই ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়ে এসব কুকর্ম ফাঁস না করতেন, তাহলে আরো কত ছাত্রীর ইজ্জত লুটে নিতো কে জানে!
❏ দুই,
“ইসলামবিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের হাতে অস্র তুলে দেয়া যাবেনা” এই চিন্তাচেতনা লালনের কারণে অনেকেই এসব বিষয় খুব একটা প্রতিবাদ করেন না বা পাবলিকলি কথা বলতে চান না। কিন্তু আপনার জেনে রাখা জরুরী যে, শুধু খারাপ মানুষের কুকর্মের কারণেই সমাজ ধংস নয় বরং ভাল মানুষদের নিস্ক্রিয়তার কারণেও সমাজ ধংস হয়ে যায়।
আপনার আরো জেনে রাখা জরুরী যে, আবাসিক মাদ্রাসাগুলোতে কোমলমতি বাচ্চাদের সাথে কুকর্মে লিপ্ত সমকামী মোল্লাদের ব্যাপারে এখনই যদি সোচ্চার না হন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। গত একবছরে প্রায় এক ডজন বাচ্চা প্রকাশ্যে তাদের হুজুরদের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছে এবং দুইজন বাচ্চাকে মেরে ফেলা হয়েছে যৌনকর্ম করে! আপনি কি এই বিষয়গুলিকে স্বাভাবিক মনে করছেন!?
❏ তিন,
বাচ্চাকাচ্চা আল্লাহর দেয়া আমানত। আবশ্যই এই আমানতের ব্যাপারে অভিভাবকরা জিজ্ঞাসিত হবেন। সুতরাং আপনার বাচ্চার ব্যাপারে সচেতন হউন। আর বাচ্চাটা যদি মেয়ে হয়, তাহলে সচেতনতা আরো কয়েকগুণ বাড়ান।
⦁ আবাসিক মাদ্রাসা বা স্কুলে বাচ্চা দিবেন না যদি বাড়ী থেকেই যাতায়াতের সুযোগ-সুবিধা থাকে।
⦁ আপনার সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন
তার অন্তরে লুকায়িত কথাগুলি জানার চেষ্টা করুন।
⦁ আচার আচরণে পরিবর্তন দেখলে মানসিকভাবে উৎসাহ দিন। তাকে অভয় দিন। তার সমস্যাগুলো জানার আপ্রাণ চেষ্টা করুন।
⦁ আপনার সন্তানের বেষ্টফ্রেন্ড থেকে ইনফরমেশন নিন।
⦁ নিকট আত্নীয় অথবা দূরের আত্নীয় যেই হউক না কেন, আপনার বাচ্চার অতিরিক্ত, অতিরঞ্জন প্রশংসা করছে কিনা সেদিকে নজর রাখুন।
⦁ মাদ্রাসায় কিংবা স্কুলে হুজুর বা শিক্ষক তেল মালিশ, পা টিপানো, একেলা ডাকা, কাপড়-চোপড় ধোয়ানো, মুখে চুমু দেয়া ইত্যাদি করে কিনা খোঁজখবর নিন।
⦁ সন্তানকে কখনোই অন্যের বাচ্চার সাথে তুলনা করবেন না। রেজাল্ট অমুকের বাচ্চার মত হতে হবে এরকম মানসিক চাপে ফেলবেন না।
⦁ স্কুল টিচার বা মাদ্রাসার হুজুর সাহেব যদি আপনার বাচ্চার মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা করে, গালে, পিঠে হাত ভুলায় তাহলে সন্দেহের নজরে দেখুন।
⦁ আবাসিক মাদ্রাসায় বাচ্চাকে ফেলে চলে আসবেন না বরং প্রতিদিন একবার হলেও তাকে দেখে আসুন। তার খোঁজখবর নিন।
⦁ এলাকায় পরিচিত কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি থাকলে উনাকে টিচার, হুজুরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন যাতে শিক্ষক সাহেবরা কিছুটা মানসিক চাপে থাকে। কথায় আছে, শক্তের ভক্ত, নরমের জম।মনে রাখবেন, আপনার একটু বে-খেয়ালিপনা, সারা জীবনের কান্না।
.
মনে রাখুন, যখনই মানুষের মন থেকে আল্লাহর ভয় (তাক্বওয়া) দূর হয়ে গেল অর্থাৎ চূড়ান্ত জবাবদিহিতাহীন একটি সভ্যতার চর্চা শুরু করল তখনই মানুষগুলো আর মানুষ রইল না বরং তারা ইতর প্রাণীতে পরিণত হলো। আল্লাহভীরুতা (তাক্বওয়া) ও পরকালের জবাবদিহিতার ভয় যদি থাকত তাহলে ধর্মীয় লেবাসে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের চরিত্র ধারন করত না।
আজকের সমাজের দিকে তাকান – এখন মেয়ে বাবার কাছে নিরাপদ নয়, নাতনী দাদার কাছে নিরাপদ নয়, বন্ধু সহপাঠীর কাছে নিরাপদ নয়, ছাত্রী শিক্ষকের কাছে নিরাপদ নয়, রোগী ডাক্তারের কাছে নিরাপদ নয়, পুলিশের কাছে অসহায় বিচারপ্রার্থী নিরাপদ নয়, ভাড়াটিয়া বাড়িওয়ালার কাছে নিরাপদ নয়, যাত্রী ড্রাইভারের কাছে নিরাপদ নয়, শিষ্য তার ধর্মগুরুর কাছে নিরাপদ নয়, ইভেন মাদ্রাসার বাচ্চা শিশুরা পর্যন্ত হুজুরের কাছে নিরাপদ নয়। যে যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে সে সেখানেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। পুরো দেশটাই যেন এক নিরাপত্তাহীন উপত্যকা!
এই হচ্ছে পাশ্চাত্যের সৃষ্ট বস্তুবাদী, ভোগবাদী, আত্মাহীন, আল্লাহহীন, ধর্মহীন সভ্যতার ফসল যা ঠেকানোর একমাত্র উপায় হল সত্যিকারার্থে দ্বীনমুখী হওয়া।
ছোটবেলায় আমাদের শেখানো হতো- শিক্ষক-শিক্ষিকারা হচ্ছে বাবা-মায়ের মত।সামাজ এরকমই একটি অদৃশ্য বাধন তৈরী করে দিয়েছিলো।
দীর্ঘদিনের ‘সামাজিক মূল্যবোধ’ বলেন আর কালচার বলেন এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে।
কিন্তু সম্প্রতি মিডিয়ায় বিভিন্ন নাটক প্রচারিত হচ্ছে, যেটা দেখে আমার মনে হয়েছে সমাজে বহুদিনের গড়ে ওঠা সেই বাধনে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানে- শিক্ষিকা ছাত্রদের সম্পর্ক মা-সন্তানের মত নয়, প্রেমিক-প্রেমিকার মত। যেমন : নাটক-‘ম্যাডাম তোমাকে ভালোবাসি’, নাটক-‘লোনলি টাচ’, দ্বীপ্ত টিভিতে প্রচারিত ‘যা কিছু ঘটে যায়’, দেশটিভিতে প্রচারিত ‘নাইন এন্ড হাফ’ প্রত্যেকটি নাটকে শিক্ষিকার সাথে ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
অনেকে হয়ত বলতে পারেন, “আরে ভাই আছেন কোথায়, আজকাল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটছে, যার প্রতিফলন এই নাটক।” আমি বলবো- হতে পারে। কিন্তু দুই-পাঁচ জন ব্লু ওয়েল গেম খেললো, আর আপনি সেটা নিউজ আর টকশো করে সারা দেশেব্যাপী প্রচার করে দিলেন, এখন ব্লুয়ে ওয়েলের গ্রাহক হয়ে গেলো পাচ-দশ লক্ষ।
যেই জিনিসটা কিছু অংশে সীমিত আছে সেটা কিছু অংশেই সীমিত থাকতে দিন। আপনি নাটক বানিয়ে, রসিয়ে-রসিয়ে সেটা পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিলেন, এখন ছাত্র-শিক্ষিকার মধ্যে সেই সম্পর্কটা কি আর থাকবে ? আর এই বাধন ভেঙ্গে দিলে দীর্ঘমেয়াদী ও ফিল্ড পর্যায়ে তা কতটুকু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, সেটা কি চিন্তা করেছেন ?
প্রতিদিন খবরে দেখেছেন- খুন, ধর্ষণ, হত্যা, রাহজানির খবর। অনেকেই বলছেন- এগুলো সমাজে মূল্যবোধ ধ্বংসের কারণ। কিন্তু সেই মূল্যবোধ’টা কিভাবে তিলে তিলে ধ্বংস করা হচ্ছে সেটা নিয়ে কেউ ভাবছে না। পশ্চিমাবিশ্বে কিংবা ভারতে যে বিষয়গুলো স্বাভাবিক, বাংলাদেশে সেটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই কালচারটা যখন আপনি বাংলাদেশে নাটক সিনেমার মাধ্যমে আমদানি করলেন, তখনই ঘটলো সমস্যা। আমার মনে হয়, সমাজে বাধন ভাঙ্গার এই প্রক্রিয়া নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের সচেতন হওয়া উচিত।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা আমাদের দেশকে রক্ষা কর। আমীন।