‘গেটআউট’ এর পরও মোকাব্বির খানকে নিয়ে ড. কামালের অনুষ্ঠান!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৪:২৩,অপরাহ্ন ২৬ এপ্রিল ২০১৯ | সংবাদটি ২৭৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় গণফোরামের কার্যালয় থেকে ‘গেটআউট’ বলে মোকাব্বির খানকে বের করে দিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। সেই মোকাব্বির খান দলটির জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দিয়েছেন। কাউন্সিলে শুধু যোগ দেননি অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে নির্ধারিত চেয়ারেও আসন গ্রহণ করেন মোকাব্বির খান। এসময় মঞ্চে ড. কামাল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে গণফোরামের চলমান কাউন্সিলে যোগ দেন সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।
দীর্ঘ আট বছর পর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বসেছে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল। পুনর্গঠনের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যন্ত দলকে চাঙ্গা করা, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন করে আয়োজনের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারসহ জনগণের সামনে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরা—এই তিন প্রধান লক্ষ্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এ বিশেষ কাউন্সিল। এতে সারা দেশ থেকে আসা দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
তবে দলীয় অসন্তোষ থাকার পরও কাউন্সিলে মোকাব্বির খানের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন, ‘মোকাব্বিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি নিজ থেকেই এসেছেন।’
‘দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা নেওয়া হয়নি। মোকাব্বির দলের সিদ্ধান্তে সংসদে শপথ নেননি,’ বলেন রফিকুল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি দল নিয়ে আওয়ামী লীগবিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রায় সবাই বিএনপির ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে বিএনপি থেকে ছয়জন ও গণফোরাম থেকে দুজনসহ মোট আটজন নির্বাচিত হন।
এর মধ্যে গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজারের একটি আসন থেকে এবং সিলেটের একটি আসন থেকে ‘উদীয়মান সূর্য’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন মোকাব্বির খান।
নির্বাচনের পর পরই ভোটে ব্যাপক কারচুপি আর অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাঁরা শপথ নিবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এর মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গণফোরামের দুজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। এজন্য সুলতান মনসুরকে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত ২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন মোকাব্বির খান। এ সময় গণফোরামের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মোকাব্বির দলীয় প্যাড চুরি করে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেই তিনি শপথ নিয়েছেন।
শপথ নেওয়ার দুদিন পর ৪ এপ্রিল গণফোরাম প্রধান ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে যান মোকাব্বির খান। দরজা খুলে তিনি ড. কামাল হোসেনকে সালাম দেন। তখন কামাল হোসেন রেগে যান এবং চেম্বার থেকে মোকাব্বির খানকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে তখন গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়।