“গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ”একটি পরিশ্রমী ধীমান গবেষণাকর্ম । অধ্যাপক রনজিত দে
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৫:৩৪,অপরাহ্ন ১৯ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ১০৫১ বার পঠিত
বইয়ের নামকরণ ও আলোচনার পরিধি তথা ব্যপ্তি সচেতন পাঠক বইটি পড়া মাত্রই আমলে নেওয়ার কথা। বইটির নামকরণ স্থানীয় হলেও আলোচনার পরিধি স্থানীয় প্রয়োজন মিটিয়ে আলোচনার খাতিরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু লেখক কখনও মূল আলোচনা থেকে বিচ্যুত হননি অর্থাৎ প্রাসঙ্গিক আলোচনাতেই থেকেছেন। ইতিহাস পাঠক কখনও বিমুখ হবেন না বরং মোহগ্রস্থ হয়ে নির্ঘাত পাল্টাতে থাকবেন পাতার পর পাতা।গবেষণার যুক্তিনির্ভরতা, নিরপেক্ষতা, সত্যনিষ্টতা ও প্রাঞ্জলতার গুণে গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে সমঝদার পাঠক মাত্রই কাছে টানবে বলে আমার বিশ্বাস। লেখকের অন্যান্য গবেষণাধর্মী গ্রন্থ- ‘বিলাতে বাংলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা’, ‘বিলাতে বাংলার রাজনীতি’, ‘বিলাতে বাঙালী অভিবাসন’, ‘বিলাতে বাংলা সাহিত্য’, বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত এবং দেশ বিদেশে বোদ্ধাজনের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত।
লেখকের গবেষণাধর্মী অন্যান্য গ্রন্থের ধারাবাহিকতায় এবারের সংযোজন ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’। গ্রন্থটি ইতোমধ্যে পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই গোলাপগঞ্জ থানা সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ধর্মচর্চা ও শিক্ষা সবদিক দিয়েই একটি উর্বর জনপদের মহিমায় উদ্ভাসিত ছিলো। তাই এতো ব্যাপক বিষয় নিয়ে বোধ হয় গবেষণা করতে গিয়ে আলোচনার ব্যাপ্তি এত দূর পর্যন্ত মাড়িয়েছে। এই ছোট্ট জনপদের আদি-অন্ত আলোচনা এর ক্ষুদ্র সীমানা পেরিয়ে আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। অতি প্রাচীনকাল থেকে আজোবদি উক্ত জনপদ স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৌরব ও ঐতিহ্যের অধিকারী। তাই গৌরব গাথা ও ঐতিহ্য নিয়ে এ যাবৎ বহু প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও পুস্তকাদি প্রকাশিতও হয়েছে। প্রাচীন এ জনপদকে নিয়ে নির্মোহ, নির্ভেজাল, নির্জলাসত্য তথা ব্যাপক অর্থে যথার্থ গবেষণাধর্মী তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সাধুগ্রন্থ পাঠক মহলে ছিলো অনুপস্থিত। লিখিত ঐসব প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও পুস্তকাদি যে অধিকাংশই ছিলো উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মনগড়া, কল্পনাপ্রসূত, পক্ষপাতদুষ্ট তা ফারুক আহমদের বর্তমান প্রয়াস ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’ গ্রন্থটি পাঠে সহজেই অনুমেয়। এই সব আরোপিত মনগড়া, কল্পনাপ্রসূত ও পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়াদির মান নির্ণয় ও যুক্তি খন্ডনে লেখককে অপেক্ষাকৃত বেশি ঘাম ঝরাতে হয়েছে। ঐতিহাসিক এ জনপদের নামকরণ সংক্রান্ত দীর্ঘদিন যাবৎ যে গোলক ধাঁধাঁ ছিলো এবং উক্ত জনপদের অন্তর্গত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নামকরণ সংক্রান্ত ধোয়াশা তথ্য ও যুক্তি প্রমাণের ভিত্তিতে গবেষনার পুরোপুরি মানদন্ড বজায় রেখে দিবালোকের মতো পরিস্কার করে লেখক অতি ধন্যবাদ পাওয়ার মতো কাজ করেছেন।
গ্রন্থটি স্থানীয় ইতিহাসকে উপজীব্য করে লেখা হলেও সমঝদার ইতিহাস পাঠক ও গবেষকদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম এমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু মূল্যবান বিষয় সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডারে গ্রন্থটি পরিপূর্ণ, উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম থেকেই ‘মুজিব নগর সরকার’ এর কাগজপত্রে দেশের নাম লেখা হতো ‘বাংলা দেশ’ অর্থাৎ বাংলা এবং দেশ শব্দ দুটি আলাদাভাবে লেখা হতো। এই আলাদা শব্দ দুটিকে একসাথে জোড়ে দিয়ে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেছিলেন গোলাপগঞ্জেরই কৃতি সন্তান বিশিষ্ট বাম রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট তাসাদ্দুক আহমদ। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের প্রায় ২৫ বছর পূর্বে বাংলা ভাষায় কথা বলা বা এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ তথা আন্দোলন করা ছিলো বেশ দুরুহ কাজ, কেননা বাংলা ভাষায় কথা বলা তখনকার অভিজাত সমাজে ছিলো হীনমন্যতার পরিচায়ক কিন্তু সেই দুরুহ কাজটিই করলেন গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান, ১৯২৬ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত কংগ্রেস দলীয় প্রার্থী (সিলেট সদর পূর্ব থেকে) আব্দুল হামিদ চৌধুরী (সোনামিয়া) এলএমসি, নির্বাচিত সদস্য হিসেবে আসাম পার্লামেন্টের ইতিহাসে প্রথম মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা দানের গৌরব অর্জন করেন। সিলেটের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঐতিহাসিক ক্বীন ব্রীজ যাকে নিয়ে লিখেছেন বহু নামদার কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিক।সিলেটের নান্দনিক সৌন্দর্যেরও অংশ এই ক্বীন ব্রীজ।ব্রীজটি নির্মাণের প্রস্তাব তৎকালীন আসাম লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের অধিবেশনে ১৯২৮ সালের মে মাসে উপস্থাপন করেন গোলাপগঞ্জেরই কৃতি সন্তান। গ্রন্থটি পাঠে আমরা আরো জানতে পারি মধ্যযুগীয় সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার ফলে হিন্দু-মুসলিম উভয় সমাজে উচু-নিচু, ইতর-ভদ্র, আশরাফ-আতরাফ, ব্রাহ্মণ-শূদ্র ইত্যাদি নগ্ন রূপ সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও প্রচলিত ছিলো। ইংরেজ শাসনামলও এর ব্যতিক্রম ছিলো না। ফলে অফিস আদালতে সাধারণ মানুষ কোনরূপ সাহায্য বা প্রতিকার চেয়ে আসলে তাদেরকে ‘তুই’ ‘তুমি’ ইত্যাদি হেয় ভাষায় গায়েল করা হতো। গোলাপগঞ্জেরই এক কৃতি সন্তান সাধারণ মানুষকে এভাবে আদালতে হেয় ভাবে সম্বোধন না করে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন চেয়ে আসাম পার্লামেন্টে প্রস্তাব উপস্থাপন করে আইনে পরিণত করেন। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তীতেকালে সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত রাস্তাটি গোলাপগঞ্জের এক কৃতি সন্তানের নামে নামকরণ করে ‘বীর উত্তম মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান রোড’।
ব্রিটিশ-ভারতের সেনাবাহিনীতে ভারতের মধ্যে পাঞ্জাবের অবস্থান যেমন ছিল ঠিক একইভাবে ব্রিটিশ শাসনামল থেকে আজ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের মধ্যে গোলাপগঞ্জ থানার অবস্থানও তেমনি শীর্ষ স্থানীয়। মহান ভাষা আন্দোলনে শুধু গোলাপগঞ্জের পুরুষরাই অংশগ্রহণ করেননি বরং অজোপাড়া গায়ের স্কুলের মেয়েরাও সভা-সমাবেশ ও হরতাল পালন করেছিল। সমগ্র সিলেট জোড়ে নারী নেতৃত্ব ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের যে সুবিশাল আকাশ উন্মুক্ত হয়েছিলো সেখানেও গোলাপগঞ্জের উল্লেখযোগ্য নারীদের আনাগোনা ছিলো মুক্ত আকাশে দূরন্ত মেঘের মতো। শ্রীমতি সরলবালা দেব, শামসি খানম চৌধুরী, জাকিয়া আক্তার চৌধুরী, ড. রেনু লুৎফা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শামসি খানম চৌধুরী ছিলেন আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ পাস করা প্রথম মুসলিম মহিলা এবং সিলেটের এম.এ পাস করা প্রথম মহিলা। এছাড়া আফিয়া খাতুন সিলেটের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মহিলা ডাক্তার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। জাকিয়া আক্তার চৌধুরী ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মহিলা সচিব। ড. রেনু লুৎফা সিলেটের প্রথম পেশাজীবী মহিলা সাংবাদিক, তিনি একজন স্পষ্টভাষী লেখক হিসেবে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত ও সমাদৃত। আন্দোলন সংগ্রামে গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তানরা প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্থাৎ খেলাফত আন্দোলন, নানকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনসহ সর্বশেষ স্বাধীনতা সংগ্রামে গোলাপগঞ্জবাসীর বীরত্ব ও গৌরব গাতা, থানার সামগ্রীক শিক্ষাব্যবস্থার প্রাচীন ও মধ্যযুগ সহ হাল আমল পর্যন্ত সবিস্তার আলোচনা, সংস্কৃত, বৈঞ্চব, উর্দু, ফার্সি, নাগরি, মরমি, পুঁতি ও আধুনিক সাহিত্যে গোলাপগঞ্জবাসীর পদচারনা, সাংবাদিকতা, সংবাদপত্র, রাজনীতি, দর্শনীয় স্থান, হাট-বাজার, ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থার নির্ভেজাল, নির্মোহ যুক্তিপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য বাহন হচ্ছে ফারুক আহমদ এর ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’।তবে সাংবাদিকতা অধ্যায়টির আলোচনা অন্যান্য অধ্যায়ের চেয়ে নিষ্প্রভ।গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধির অযুহাতে লেখক ধর্ম প্রচার সংক্রান্ত বিষয় ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়েছেন।পিপাসু পাঠক লেখকের‘গোলাপগঞ্জে ইসলাম’গ্রন্থটি পাঠ করলে এই অপূর্ণতা অনেকাংশেই লাঘব হবে মনে করছি।
“আমাদের গোলাপগঞ্জ” ম্যাগাজিনের ৪র্থ সংখ্যায় ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’ গ্রন্থটি নিয়ে অতি মূল্যবান মূল্যায়নধর্মী সমালোচনা লিখেছেন জনাব আব্দুল মুহিব চৌধুরী। তাঁর মতে, “পুরো বইটি পড়ার পর মনে হয়েছে- না, এই লেখকের আসলেই কোন জাত নেই, কোনো দল নেই, অপমানের প্রতি কোনো তোয়াক্কা নেই, তার কোন অধ্যায়েই তিনি কাউকে টার্গেট করেন নি। তিনি বস্তুনিষ্ট তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে তথ্যসূত্র উল্লেখপূর্বক যুক্তির মাধ্যমে সত্যের অনুসন্ধান করেছেন, ফলে হিন্দু-মুসলিম, শেখ-সৈয়দ, মোঘল-পাঠান, চৌধুরী-তালুকদার, মুচি-চান্ডাল কাউকে ছোট কিংবা বড় করে দেখবার প্রবণতা নেই। ইতিহাসের খাতিরে যাকে যে আসনে বসানো দরকার তাতেও কোনো কার্পণ্য নেই। সেজন্য দেখি চিরতন মুচিকেও সম্মান দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে বাবু চিরতন মুচি বলতেও দ্বিধা করেন নি”। হ্যা, জনাব আব্দুল মুহিব চৌধুরী এর উক্তির সমর্থনে আমি বলবো ফারুক আহমদের ধীমান গবেষণাকর্ম ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’ কোন একটি নির্দিষ্ট মহল বা গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করতে গিয়ে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেনি, এ ব্যাপারে লেখক সদা সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন, এখানেই তাঁর স্বার্থকতা। ইতিহাসকে তার নিজ গতি পথে চলতে দিতে হয়। ইতিহাস যারা বিকৃত করেন বা করবেন ইতিহাসই তাদের আস্তাকুড়ে ফেলবে। এমন অসংখ্য উদাহরণের উজ্জ্বল সাক্ষী ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’।
গ্রন্থটির কিছু কিছু অধ্যায়ের আলোচনায় বিশেষ কোন ব্যক্তি বা মহল ব্যথিত বা ক্ষুব্দ হতে পারেন। এক্ষেত্রে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে একজন গবেষক ও ঔপন্যাসিকের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। একজন ঔপন্যাসিকের সাথে ইমোশন বা আবেগ অনুভূতি যায় কিন্তু একজন গবেষককে অবশ্যই ইমোশন বা আবেগ অনুভূতির উর্দ্ধে উঠে হতে হয় রেশনাল বা যুক্তি নির্ভর। একজন গবেষকের ক্ষুরধার যৌক্তিক উপস্থাপনায় কোন শ্রেণী বা মহল আঘাত প্রাপ্ত হলেও এক্ষেত্রে তার হাতে কোন বিকল্প থাকে না। কারণ তিনি কোনো বিশেষ শ্রেণী বা মহলকে তুচ্ছ করতে কিংবা দেবতার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে বা বাহ্বা পেতে নয় বরং তিনি লিখে যান ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা থেকে, সত্যনিষ্টতায় আবদ্ধ থেকে। বিশিষ্ট গীতিকার, সাংবাদিক ও ধীমান গবেষক ফারুক আহমদের ‘গোলাপগঞ্জের ইতিহাস’ গ্রন্থটি এ জনপদের সঠিক ও সত্যনিষ্ট ইতিহাস রচনায় একটি অনুকরণীয় যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হোক। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে দ্বীনা লায়লা, তানযিফা হোসেন ও জাহানার বেগমকে। গ্রন্থটি সিলেটের নিউ নেশন লাইব্রেরী, বইমেলা, গোলাপগঞ্জস্থ নাজ লাইব্রেরী, মুক্তধারা, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক, সংগীতা লি. ব্রিকলেন, লন্ডন ই-১ ৬ আর এফ ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে। আমি এ গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করি.
লেখক:অধ্যাপক রনজিত দে,ঢাকাদক্ষিণ গার্লস স্কুল ও কলেজ,গোলাপগঞ্জ।
০৩/০৪/২০১৬।