চার মাস স্থগিতের পর মাঠে গড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৫:১০,অপরাহ্ন ০৮ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ২১৮৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ফুটবল মাঠে ফিরেছে বেশ আগেই। এবার ফিরছে ক্রিকেটও।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় চার মাস স্থগিত থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফের শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচ সিরিজ দিয়েই।
বুধবার (৮ জুলাই) ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে সাউদাম্পটনে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায়।
আরও নির্দিষ্ট করে বললে সাউদাম্পটন টেস্ট দিয়ে ১১৭ দিন পর মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। করোনার ছোবলে ক্রিকেট নির্বাসনে যাওয়ার আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি (অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে) হয়েছিল ১৩ মার্চ। অপ্রত্যাশিত বিরতি শেষে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনে রোমাঞ্চিত গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। তবে নতুন বাস্তবতায় মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ থাকছে না দর্শকদের।
বোজ বোলের দর্শকশূন্য মাঠে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে খেলা হবে। দুই দলের সবাই আপাতত করোনা নেগেটিভ। কয়েক দফা পরীক্ষা করোনা হয়েছে। এর আগে ইংল্যান্ডে এসে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। তারপরও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় রেখে এই সিরিজের জন্য করোনা বদলির নতুন নিয়ম যুক্ত হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে।
ম্যাচ চলাকালীন কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে বদলি খেলোয়াড় নামানো যাবে। এছাড়া বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে এই সিরিজ থেকেই। অনেক নতুন নিয়মের পাশাপাশি বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দু’দলই মাঠে নামছে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লেখা জার্সি গায়ে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড অবশ্য ফেরার ম্যাচে পাচ্ছে না নিয়মিত অধিনায়ক জো রুটকে। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে প্রথম টেস্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রুট। তার অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অভাবনীয়ভাবে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছিল ইংল্যান্ড। ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল মূলত ক্যারিবীয় পেস আক্রমণ। এবার নিজেদের আঙিনায় তার বদলা নিতে মুখিয়ে আছে ইংলিশরা।
জমজমাট লড়াইয়ের সব রসদই আছে দু’দলের পেস আক্রমণে। উইন্ডিজ নামতে পারে চার পেসার নিয়ে। অভিজ্ঞ কেমার রোচ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের সঙ্গে থাকবেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও আলজারি জোসেফ। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের নায়ক রোচের সামনে এবার দারুণ এক মাইলফলকের
হাতছানি। টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে তার দরকার আর সাতটি উইকেট। ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণও অবশ্য কম যায় না। প্রথম টেস্টের দলে জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, জফরা আর্চার ও স্টোকসের সঙ্গে আছেন ক্রিস ওকস ও মার্ক উডের মতো পেসাররা।
বারবাডোজে জন্ম নেয়া গতিময় পেসার আর্চার তার এক সময়ের সতীর্থদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস হতে পারেন। দুই অধিনায়ক স্টোকস ও হোল্ডারের লড়াইও রোমাঞ্চ ছড়াবে। দু’জনই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তবে ব্যাটিং গভীরতায় ইংল্যান্ডই এগিয়ে থাকবে।
রুটের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ঘরের মাঠে তাই ফেভারিট হিসেবেই নামছে ইংল্যান্ড। চারে রুটের জায়গায় দেখা যেতে পারে তরুণ অলি পোপকে। পাঁচ থেকে সাতে নামবেন যথাক্রমে জো ডেনলি, স্টোকস ও জস বাটলার। দলের একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার ডম বেসও ব্যাট হাতে সময়ের দাবি মেটাতে পারেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেও কাজ চালানোর মতো ব্যাটিং প্রায় সবাই জানেন।
কিন্তু শাই হোপ ছাড়া কেউই ঠিক নির্ভর করার মতো নন। ড্যারেন ব্রাভো ও শিমরন হেটমায়ারের জায়গায় শামারা ব্রুকস ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারেন তার ওপর নির্ভর করছে উইন্ডিজের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা।