যশোরকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১২:০১,অপরাহ্ন ১৫ জুন ২০২০ | সংবাদটি ১১৭২ বার পঠিত
মালিকুজ্জামান, যশোর থেকে :: করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বিবেচনায় লাল, হলুদ ও ও সবুজ ( রেড, ইয়োলো ও গ্রিন) জোনে ভাগ করা হয়েছে যশোর জেলাকে। এর মধ্যে রেড জোন এলাকা পুরো লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইয়োলো জোন আংশিক লকডাউন থাকবে এবং গ্রিন জোনে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা প্রশাসক এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ ব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক পুরো জেলাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রেড, ইয়োলো ও গ্রিন। রেড জোন পুরোপুরি লকডাউন করা হবে। ইয়োলো জোনে আংশিক লকডাউন করা হবে। আর গ্রিন জোনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখা হবে।
আগামীকাল থেকে যশোরে জোনভিত্তিক লকডাউন
যশোর সদর উপজেলার দুইটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার একটি ওয়ার্ডসহ জেলার বেশ কিছু এলাকা পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। এই লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এব্যাপারে আজ সোমবার বিকালে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, যশোর জেলাকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রেড জোন পুরোপুরি লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ইয়োলো জোন আংশিক লকডাউন থাকবে। গ্রিন জোনে শর্তাসাপেক্ষে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
তিনি আরো জানান, শহরাঞ্চলে ওয়ার্ড এবং গ্রামাঞ্চলে ইউনিয়নকে ভিত্তি ধরে জোন ভাগ করা হযেছে। যশোর শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড রেড জোনে পড়েছে। রেড জোনের তালিকায় যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ও উপশহর ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড রয়েছে। এড়াছা অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ২, ৪, ৫, ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ড এবং চলিশিয়া, পায়রা ও বাগুটিয়া ইউনিয়ন, চৌগাছা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড, শার্শা উপজেলার শার্শা সদর ইউনিয়ন ও বেনাপোল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড, ঝিকরগাছা পৌরসভার ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড এবং কেশবপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড রেড জোনভুক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।