করোনা: তুমি না একটি বিপদ, তবে কেন এত তামাশা?
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৬:৪৪,অপরাহ্ন ১০ মে ২০২০ | সংবাদটি ৫৯৬ বার পঠিত
।। শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ ।।
দ্বিতীয় পর্ব
( লকডাউন প্রসংগে)
করোনা! তোমার কারণে শুরু হলো লকডাউন শহর থেকে শহরে, এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে,সর্বশেষ সারা বাংলায়৷ দেখাদিলো চারিদিকে হাহাকার,বাতাসে ভাসতে লাগে হতদরিদ্রদের আহাজারী ৷খাদ্যসংকটে পড়লো অনেক জনসাধারন আর কর্মচারী ৷ সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দরদে এগিয়ে আসলেন আর কতো বিত্তশালী ৷ সরকারের পক্ষ হতে ত্রাণসামগ্রী অপ্রতুল হলেও পৌছানোর দায়িত্ব নিলো আমলা আর জনপ্রতিনিধি। ক্ষুধার্ত জনগণের হাতে ত্রান পৌছার আগে খেয়ে-দেয়ে শেষ করে ফেলে,বাকী রাখে শুধু ফাকা থলি৷ করোনা! তুমি কী জানো ওরা কারা? জাতীয় কিছু গাদ্দার চাটার দল আর ঠোটে উঠা চামচারা৷ওরা যে লুটেরা;ওদের নেই কোন নীতি;নেই কোন প্রীতি। দেশ স্বাধীনের পর থেকে ওরা চাটছে কেবল। আসলে ওদের নেই কোন বিশেষ দল। আছে শক্তি ; আছে ক্ষমতা;আছে বাহুবল,সময় বুঝে বলে আমরা সরকারী দল। দেখিনিতো বঙ্গবন্ধুকে তবে শুনেছি তাঁর কথা ৷অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভে বলেছিলেন চাটাদের অমানবিকতা-‘আমি ভিক্ষা করে দেশ-বিদেশ থেকে আনি আর চাটার দল চেটে খায় শেষমেশি”৷এরাই হচ্ছে ওরা যাদের নিয়ে হয়েগেল এক প্রদর্শনী ৷ চোরেরা নাহি শোনে ধর্মের কাহিনি৷
বলতে লজ্জা হয়; যাদের ঘরে মাটির নিচে পাওয়া যায় চালের খনি। গুদামেও দেখা যায় চালের স্তুপ। শুনে বিস্মিত হবে,বক্সপালঙ্কের ভেতরেও পাওয়া গিয়েছে ভোজ্য তেলের কেইন আরো অনেক কিছু।
করোনা! ওরা কতটা নির্লজ্জ,কত যে বেহায়া।গরীবের ত্রাণের মাল লুটে নিতে ওদের নেই কোন বেদনা৷ কার মাল নিচ্ছে ছিনিয়ে এটা যে গরীবের পাওনা৷ দুমুঠো খাবারের আশায় যখন দারস্থ হয় কোন দানশীলের ৷গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ে কখনো,তবুও মিটেনি মনের স্বাদ ওদের৷কিছু না পেলেও দুঃখ নাই গরীবের পেতে পারে এ আশাটি সর্বদা থাকে তাদের ৷তদুপরি,দানের নামে যখন সবে মিলে মিডিয়াতে দেয়ে পোজ,মন ভেঙ্গে চৌচির হয় তাদের দিলে জমে শোক ৷ সামাজিক দূরত্ব ভেঙ্গে একত্র হয়ে দেখায় কতো সার্কাস ৷ একের পর এক Video Live এ গিয়ে করে নিজেকে প্রকাশ৷
ওরা কেমন অমানুষ, নেই মৃত্যুর ভয় ;তোমাকেও নিয়ে নেই কোন আতংক। করোনা! এ কেমন তোমার তেলেসমাতি ৷ (পরবর্তীতে তামাশা-৩)
লেখক: শিক্ষক, ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলূম হুসাইনিয়া মাদরাসা, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।