ভাটির সুর্যসন্তান সামাদ আজাদ’র পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫২:১২,অপরাহ্ন ২৭ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৮৫২ বার পঠিত
সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা:: বাংলাদেশের রাজনীতিতে হাতেগোনা উল্লেখযোগ্য ক’জনের মধ্যে অন্যতম ভাটির সুর্য খ্যাত রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ। যার আলোয় আলোকিত হয়েছে ভাটি অঞ্চল তথা এদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (সোমবার)। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে নিরলস কাজ করছেন ভাটির এই সিংহ পুরুষ। পর্যায়ক্রমে সুনামগঞ্জের ৫টি আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ সামাদ আজাদ। বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেটের রাজনীতিতে সামাদ আজাদ ছিলেন বটবৃক্ষ। তিনি ছিলেন পুরো সিলেটবাসীর অভিভাবক। দলমত নির্বিশেষে সকলেই তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় পেয়েছেন।
আবদুস সামাদ আজাদের জন্ম ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ভুরাখালী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪০ সালে মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের আঞ্চলিক শাখার সভাপতি হিসেবে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৫৪ সালে আওয়ামী লীগে শ্রম সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ জাতির গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ও সংগ্রামে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
আবদুস সামাদ আজাদ বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্র ও কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
সামাদ আজাদের রেখে যাওয়া অনুসারীরা তাঁর আদর্শ মননে ধারণ করে আজো সিলেট অঞ্চলে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। বর্ষিয়ান এ নেতার মৃত্যুতে বৃহত্তর সিলেটবাসী আজো অভিভাবক শুন্যতায় ভূগছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ আবদুস সামাদ আজাদের ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্ষীয়ান এ জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী এবার সাদামাটাভাবে পালন করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাগফেরাত কামনায় শুধু মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র নিশ্চিত করেন