মেয়ে ঘরবন্দি, আতঙ্কে ভুগছেন ট্রাম্পও!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২৯:০১,অপরাহ্ন ১৪ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৫৩২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসেও।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, নিজে থেকেই ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে উদ্যোগী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর বাড়ি থেকেই যাবতীয় কাজ সারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার উপদেষ্টা তথা কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
নোভেল করোনার জেরে শুক্রবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই নিজেও ডাক্তারি পরীক্ষা করাবেন বলে জানান তিনি। হোয়াইট হাউসের ‘রোজ গার্ডেনে’ দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেন, এখনও পর্যন্ত করোনার উপসর্গ দেখা দেয়নি তার। তবে খুব শীঘ্র নিজের ডাক্তারি পরীক্ষা করাবেন তিনি।
যদিও এক দিন আগেই হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ট্রাম্পের ডাক্তারি পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। তা হলে আচমকা কেন মত পাল্টালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? সেই নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার পাম বিচের ‘মার-এ-লাগো’ রিসোর্টে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো, তার প্রেস সচিব ফ্যাবিও ওয়াজনগার্টেন এবং সে দেশের রাষ্ট্রদূত নেস্টর ফোরস্টারের সঙ্গে পাশাপাশি বসে নৈশভোজ সারেন ট্রাম্প। দেশে ফিরে প্রথমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ফ্যাবিও। তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এরপর নেস্টরের শরীরেও সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাতেই নাকি ভয় পেয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একইভাবে, দিন কয়েক আগেই মার্কিন সফর সেরে দেশে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন। ওয়াশিংটনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশু নিগ্রহ রোখা নিয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয় তার। কিন্তু দেশে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডাটন।
শুক্রবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে ইভাঙ্কার। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত কিছু দিন বাড়ির বাইরে পা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটির সংক্রমণে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখন পাঁচ হাজার ৪৩৬ জন। আক্রান্তের ঘটনা এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮টি। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ৭২ হাজার ৫৫০ জন সুস্থ হয়েছেন।
চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহরে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটিতে চীনে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের হার কমতে থাকলেও এসব অঞ্চলে তা লাফিয়ে বাড়ছে।