‘আগরতলা বিমানবন্দরের জন্য জমি দেয়নি বাংলাদেশ’
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:০৯:০৩,অপরাহ্ন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৪৪৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য জমি চাওয়া হলে সে আবেদনে বাংলাদেশ সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছেন, ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি জানান, আগরতলা বিমানবন্দরের জন্য বাংলাদেশে জমি চাওয়া হয়েছিল। তবে সে আবেদনে সাড়া দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টের সেবা যাতে ত্রিপুরা রাজ্য পায় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আগরতলায় উজ্জয়ন্ত প্যালেসে দুইদিন ব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ পর্যটন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমার যখন অক্টোবরে দিল্লীতে দেখা হয়েছিল, তখন উনার কাছে আমি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম যেন ঢাকা থেকে আগরতলায় ফ্লাইট আসে। আমি বলেছিলাম, আগরতলার বিমানবন্দরটা তো একদম সীমান্তের সাথে লাগোয়া, তাই বিমানবন্দরটিকে বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত মিলে একই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। বাংলাদেশের কিছু জায়গা দিন, টার্মিনাল হয়ে যাবে।
বিপ্লব কুমার দেব জানান, বিমানবন্দরের জন্য জমি দিতে রাজি না হলেও ঢাকা-আগরতলা বিমান চলাচল শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, ফেনী নদীর ব্রিজ হয়ে গেলে ত্রিপুরার মানুষ অবশ্যই কক্সবাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেখতে যাবে এমন প্রত্যাশাও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সামনে বাংলাদেশ নতুন বিমান কিনলে, এর একটি আগরতলা রুটে দেওয়ার আশ্বাস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন এমনটি জানান বিপ্লব কুমার।
গত বছরের আগস্টের দিকে আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের জমি ব্যবহারের প্রস্তাব দেয় ভারত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪২ সালে নির্মিত আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এরইমধ্যে আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে রানওয়ে নির্মাণ, নতুন টার্মিনাল ভবনসহ বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে।
ভারতের আগরতলা বিমানবন্দর বাংলাদেশের সীমানার খুব কাছাকাছি। বিমানবন্দরের রানওয়ে ও লাইটিং এলাকা বাংলাদেশের সীমানার কাছেই। ফলে রানওয়ে সম্প্রসারণে বাংলাদেশের জমি প্রয়োজন।