আবরার হত্যায় পুত্র জেলে, পিতাও চলে গেলেন পরপারে!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৪:১৭,অপরাহ্ন ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৮৫৬ বার পঠিত
রাজবাড়ী থেকে থেকে সংবাদদাতা:: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি ইফতি মোশাররফ সকালের বাবা মোশাররফ হোসেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তার ছেলে ইফতি আবরার হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি। ধারনা করা হচ্ছে পুত্র শোকেই তিনি স্ট্রোক করেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন ইফতির বাবা মোশাররফ। পরে তিনি নিজেই রাজবাড়ী সদর হাপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। এরপর মধ্যরাতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত ৩টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে তার জানাজা শেষে রাজবাড়ী পৌরসভার আটাশকলোনির কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মৃত মোশাররফ হোসেন (৪৫) রাজবাড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ধুনচি গ্রামের আটাশকলোনি এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে স্বামীর মৃত্যুতে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম। তিনি স্বামীর জন্য বিলাপ করছেন আর বলছেন, ‘ছেলে জেলে, স্বামীও চলে গেল। এখন আামি কী করব।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়। নৃশংস এ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ওই মামলায় ৫ নম্বর আসামি হলেন নিহতের ছেলে ইফতি মোশাররফ সকাল।