প্রধানমন্ত্রীর তারিখে আলোচিত এশাকেই বিয়ে করছেন সোহাগ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৪:০২,অপরাহ্ন ০১ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ১৪৩৮ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের আলোচিত সেই সভাপতি ইশরাত জাহান এশার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাবির সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইশরাত জাহান এশার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করেন সোহাগ ও এশার পরিবারের সদস্যরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটি ছবি পোস্ট করে সোহাগ এ তথ্য জানান।
ফেইসবুকে শেয়ার করা ছবির ক্যাপশনে সাইফুর রহমান সোহাগ লেখেন, ‘আমার অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের বিয়ের তারিখ ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঠিক করে দিয়েছেন।সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবাইকে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ১১ই এপ্রিল মাঝরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওই রাতে সুফিয়া কামাল হলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের মোর্শেদা নামের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ওই ছাত্রীর পায়ের রগ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি এশা কেটে দিয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে হলের ছাত্রীরা এশাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর, এশাকে মারধর এবং জুতার মালা পড়িয়ে লাঞ্চিত করে হলের মেয়েরা।
খবর পেয়ে দ্রুত হলে উপস্থিত হয়ে এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। ওই রাতেই ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এশাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে বিবৃতি পাঠান।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। পরে, জানা যায় মোর্শেদার পায়ের রগ কেউ কেটে দেয়নি, বরং এশার কক্ষের জানালায় লাথি মারলে কাচ দিয়ে তার পায়ের রগ কেটে যায়।
এরপর, ছাত্রলীগ নেতারা এশার সঙ্গে দেখা করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। পরবর্তীতে এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ।