গোলাপগঞ্জ আ’লীগের সম্মেলন: অপেক্ষমান নেতাকর্মী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৭:১৬,অপরাহ্ন ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৭৫৯ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম। দ্বিতীয় অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামীলীগের আগামীদিনের কান্ডারী কারা হবেন তাদের নির্বাচন করবেন কাউন্সিলররা। এজন্য উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নেতাকর্মীরা অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন শেষ মুহুর্তের খবর জানতে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভা মাঠে শুরু হয় প্রথম অধিবেশন।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্ঠা পরিষদ সদস্য ইনাম আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সিসিক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহসভাপতি আশফাক আহমদ, মাসুক উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট ফরিদ শাহ ফরিদ, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজাত আলী রফিক, নাছির উদ্দিন খান, আওয়ামীলীগ নেত্রী জেবুন নেছা হক, কবির উদ্দিন আহমদ, ফয়জুল আনোয়ার, কানাডা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফয়ছল আলম রুহেল, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, জেলা পরিষদ সদস্য ইছন মিয়া, এমাদুদ্দিন মানিক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজমিন হোসাইন, সদস্য নুরুল আমিন, ফারুক আহমদ, আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, শহিদুর রহমান শাহিন, জগদীস চন্দ্র দাস।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন ইসলাম কামাল, শিক্ষা ও মানব কল্যাণ সম্পাদক কবির উদ্দিন, সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, নুরুল আমিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুর রহমান, গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল, সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ পাপলু, জেলা যুব মহিলালীগের সভানেত্রী ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিরা শীলা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রিংকু, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ওয়াদুদ এমরুল প্রমুখ।
এদিকে, দ্বিতীয় অধিবেশন বিকাল ৫টায় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে শুরু হয়েছে। এ অধিবেশনে কাউন্সিলররা দুইটি পদে (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) তাদের আগামীদিনের নেতা নির্বাচন করবেন।
এ দুই পদ প্রত্যাশী ডজন খানেকের উপরে। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর নাম প্রথমে শোনা না গেলেও একেবারে শেষ সময়ে এসে তিনিও লড়তে চাচ্ছেন। এছাড়া সভাপতি পদে রয়েছে সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গোলাপগঞ্জ সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমানের।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে বাঘা বাঘা নেতারা রয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর আস্থাভাজন সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখর, প্রচার সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, । গোলাপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চুনু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক রুহেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াদুদ এমরুল। সাধারণ সম্পাদক পদে আরো অনেকে লড়তে পারেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলে তাঁকে সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হতে পারে। আর সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান অথবা সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিনকে করা হতে পারে।
অপর একটি সূত্র বলছে, সভাপতি রফিক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমানের নাম।
তবে, সর্বশেষ কাউন্সিলে যারাই আসবেন তাদের সাদরে গ্রহণ করবেন এমন প্রত্যয় তৃনমূলের নেতাকর্মীদের।
সম্মেলনকে ঘিরে পৌর সদরসহ বিভিন্ন সড়কে শোভা পাচ্ছে নেতাকর্মীদের ফেস্টুন ও ব্যানার। পৌর সভার রাস্তায় শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ আগত অতিথিদের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন।