পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ও বন্দিশালা করতে দেবেননা মমতা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৪:২৫,অপরাহ্ন ২৪ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩১৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ভারতে এনআরসি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। বহির্বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে দাবি কোরে, বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছে বামদলগুলো। এ অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিরোধী দল কংগ্রেস। এদিকে অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি তো হবেই না, বন্দিশালাও নির্মাণ করতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিক তালিকা নিয়ে সংকটের মধ্যে দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটক এনআরসি থেকে সরে এসেছে। তবে রাজ্যটিতে অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে বন্দিশালায় রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার। যা নিয়ে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক।
তবে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না জানিয়ে, রাজ্যে কোনো বন্দিশালাও নির্মাণ করতে দেয়া যাবে না বলে সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি’র নামে সম্প্রাদায়িক বিভাজন বন্ধ কররাও আহ্বান তার।
ভারতের অভ্যন্তরে এনআরসি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই এবার যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মার্কিন ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস বলেন, আসামে ১৯ লাখ বাসিন্দার নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা, সত্যিই উদ্বেগের। আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর বলেন, রোহিঙ্গাদের মতো নির্যাতনের শিকার হতে পারেন আসামের বাসিন্দারা। এ নিয়ে সতর্ক হতে হবে এখনই।
এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, এনআরসি সংকটের কারণে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে। ভারতের জাতীয় নাগরিক তালিকা এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন। এর কোনো জবাব নেই বিজেপি সরকারের কাছে। তারা বিভাজন সৃষ্টি করেছে।
ভারতে এনআরসির প্রতিবাদে বামদগুলো মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। এতে এনআরসি’র প্রতিবাদে দলটির পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।