ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০২:১১,অপরাহ্ন ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৩০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: কাশ্মীরিদের পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সোচ্চার হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভারত এবং পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। এই দুই দেশের মধ্যে যদি যুদ্ধ বাধে তবে বিশ্বকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা সম্বলিত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে গোটা কাশ্মীরকে একতরফাভাবে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারতের উগ্র-হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
ফলে জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে ভারতের নিন্দা জানিয়েছেন ইমরান খান। তার ওই দীর্ঘ ৫০ মিনিটের ভাষণ ঘিরে সারা বিশ্বেই আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে, জাতিসংঘে তার ওই ভাষণের পরেই ভারতের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিহারের মুজাফফরপুর জেলার এক আদালতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুধীর কুমার ওঝা নামের এক আইনজীবী এই মামলাটি করেছেন। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিসহ বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ইমরান খান।
আদালতের কাছে ওই আইনজীবী আবেদন জানিয়েছেন যে, তার অভিযোগের ভিত্তিতে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেন সরাসরি এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়।
সুধীর কুমার ওঝা ওই পিটিশনে বলেন, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলে ভারতের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লোকজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে এবং দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
শুক্রবার জাতিসংঘের ওই ভাষণে কাশ্মীর পরিস্থিতি তুলে ধরে ইমরান খান সতর্ক করে বলেন, কাশ্মীর থেকে কারফিউ উঠে গেলে সেখানে রক্তবন্যা বয়ে যেতে পারে। হাজার হাজার কাশ্মীরিকে গৃহবন্দি এবং গ্রেফতার করায় ভারতের নিন্দা জানান তিনি।
কাশ্মীর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন যে, এটা জাতিসংঘের জন্য একটি পরীক্ষা।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা সম্বলিত সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫ ধারা বাতিল করে গোটা কাশ্মীরকে একতরফাভাবে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারতের উগ্র-হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। এরপর থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করে ভারত সরকার।
তবে ধারা বাতিলের একদিন পর থেকেই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ করেছে কাশ্মীরিরা। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে অনেকেই নিহত হয়েছে। কিন্তু ভারত সবসময়ই বিক্ষোভের কথা অশিকার করে আসছে। এর ফলে কাশ্মিরে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সম্ভাব্য গোলযোগ প্রতিহত করতে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়।