গেলো ইলিশ, বন্ধ হলো পেঁয়াজ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৩:৪১,অপরাহ্ন ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ১১৫০ বার পঠিত
আামদের প্রতিদিন ডেস্ক:: দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫০০ টন ইলিশের প্রথম চালান পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। একইদিন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।
এনিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশের এ চালানটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সৈয়দ মহিতুল হক রুবাই জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০০ টন ইলিশের সব চালান সেখানে রফতানির নির্দেশনা রয়েছে।
২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এর পর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে যায়নি।
অন্যদিক বাংলাদেশের বাজারে যখন পেঁয়াজের দাম ঝাঁজ ছড়াচ্ছে টিক সে সময়ে ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বলছেন, আমরা শুধু দিয়েই গেলাম, কিন্তু তুলনামূলক কিছুই পেলাম না। আমরা তাদের শুভেচ্ছা হিসেবে দেই, তারাতো টাকা দিয়েও দেয়নি।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই এখন থেকে সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হল, যা তাৎণিকভাবে কার্যকর হবে।
দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম এখন চড়া। ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ। ভারতের রফতানি বন্ধের ঘোষণায় নতুন উৎসের খোঁজে আমদানিকারকরা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ঢাকার বাজারে আসতে শুরু করেছে। মিসর ও তুরস্ক থেকেও আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
ভারতের বেশকিছু রাজ্যে চলতি বছরে দ্বিতীয় দফায় টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় অনেক আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ায় পেঁয়াজের কাঙিক্ষত উৎপাদন হয়নি। ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। আগামী অক্টোবরের শেষে নতুন ফসল ওঠা পর্যন্ত এ সঙ্কট থাকবে।