দায় স্বীকার করে সুর পাল্টালেন যুবলীগ চেয়ারম্যান!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৩:৩৫,অপরাহ্ন ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪৭৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করার পর এবার সুর পাল্টালেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে যুবলীগ নেতার ক্যাসিনোতে র্যাবের চলমান অভিযানকে স্বাগত জানালেন তিনি। তবে ব্যর্থতার দায় নিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরতে রাজি নন তিনি।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে এই অভিযান’কে স্বাগত জানাই। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে এটি আমার ব্যর্থতা। তবে এতদিন অবৈধভাবে চলা ক্যাসিনো বা জুয়ার বিরুদ্ধে কেন অভিযান চালানো হয়নি সেই প্রশ্নও তুলেন তিনি।
এর আগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার রাতে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ অত্যন্ত সুসংগঠিত একটি ইউনিট। তাদের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো অভিযোগ এলো না, হঠাৎ কেন অভিযোগ আসল? আর অভিযোগ থাকলে এতদিন কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি?’ খালেদের গ্রেফতার দল ও যুবলীগকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র কি-না, সে প্রশ্নও রাখেন যুবলীগের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা আওয়ামী যুবলীগের নিজস্ব ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয় কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ এসময় আইনশৃংখলাবাহিনী এতদিন কী করেছে, আঙ্গুল চুষেছে নাকি এমন প্রশ্ন তুলে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার র্যাব-পুলিশকেও গ্রেফতারের দাবি তুলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।
তিনি এ সময় অনলাইন সাংবাদিকদেরও সমালোচনা করেন। বলেন, অনলাইন মিডিয়ায় আসল ৫শ’ জায়গায় ক্যাসিনো চলছে, তো ৫শ’ জায়গায় তো ক্যাসিনো একদিনে হয়নি। প্রিন্ট মিডিয়ায় আসলো না কেন?
প্রসঙ্গত, র্যাব বুধবার রাতে ঢাকায় একের পর এক অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে চলা চারটি ক্যাসিনো বন্ধ করে দিয়েছে। এরমধ্যে অবৈধভাবে একটি ক্যাসিনো পরিচালনা করার অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে র্যাব গ্রেফতারও করেছে। বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে রাজধানীর মতিঝিল থানায়।
কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কয়েকজন নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের দু’জন শীর্ষ নেতাকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।