এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল চায় ভারত!
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২১:২৮,অপরাহ্ন ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ৪২৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এবার মোদি সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল৷ মোদি সরকারের দ্বিতীয় দফায় কাশ্মীর নিয়ে বারবারই কড়া বার্তা দিয়ে এসেছে ভারত৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চীন ভারতের অংশ৷ ভারতের কেন্দ্র সরকারের পূর্ণ অধিকার রয়েছে কাশ্মীর সম্পর্কে অন্যান্য রাজ্যের মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার৷
সেই কথা রেশ টেনেই বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র সিং বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের সীমানা ভুক্ত হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস তার৷
জিতেন্দ্র সিং বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার লক্ষ্য শুধু বর্তমান বিজেপি সরকার বা তার একার নয়, ১৯৯৪ সালে এই বিষয়ে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি রেজোলিউশনও পাশ করা হয় তৎকালীন কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের সময়ে৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় দফার ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে কথা বলেন জিতেন্দ্র সিং৷ তিনি এদিন বলেন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মোদি সরকারের বড়সড় সাফল্য৷ কাশ্মীর এখন শান্ত, পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে, তাই কাশ্মীর নিয়ে যে মিথ্যা প্রচার চালাতে চাইছে পাকিস্তান, তা ব্যর্থ হবে৷
এর আগেও জিতেন্দ্র সিং বলেছিলেন, এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পর এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে কীভাবে মুক্ত করে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা যায় সেই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পর কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, কাশ্মীর নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে এবার ভাবনা চিন্তা করুক পাকিস্তান৷ স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন রাজনাথ৷ তার বক্তব্য যদি নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে কথা হয়, তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই হবে৷ কারণ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার বিষয়টি পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু৷
কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করার পর সেখানে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে ভারত। কাশ্মীরিদের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এছাড়া ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রায় দেড় মাস হতে চললেও রাজ্যের পরিস্থিতি বদলায়নি। যদিও ভারত সরকার দাবি করছে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে শুরু করেছে কাশ্মীরে। তবে তাদের এই দাবির কোনো সত্যতা নেই। কারণ এখনো অনেকটা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে কাশ্মীর।