জিয়া চ্যারিটেবল মামলা : খালেদার আবেদন শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০২:০১,অপরাহ্ন ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ | সংবাদটি ১০৩০ বার পঠিত
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্নআদালতে দেওয়া সাক্ষ্য বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিভিশন আবেদন শুনতে বিব্রত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন বিচারপতি আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং দুদক কৌশলী খুরশীদ আলম খান উভয়ে জানিয়েছেন, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি খালেদা জিয়ার আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সাক্ষ্য বাতিলের এই আবেদন করেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টে আবেদনের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
আবেদনের বিষয়ে খালেদার আরেক আইনজীবী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপর আপিল বিভাগের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার পর বেগম খালেদা জিয়া আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু এ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শপথ আইন অনুযায়ী যথাযথ হয়নি। তাই সাক্ষ্য বাতিল চেয়ে নিম্ন আদালতে রিভিশন আবেদন করা হলে তা খারিজ হয়। সেই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়েছে।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালতে মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যেই খালেদা জিয়া গত ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিলেও তা শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার একই আদালতে খালেদার আবারও আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য প্রদানের দিন নির্ধারিত রয়েছে।