শ্রেণিকক্ষে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করায় ছাত্র বহিস্কার!
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১৮:০০,অপরাহ্ন ০১ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩৯০ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:; কানাইঘাট সরকারী কলেজে শ্রেণিকক্ষে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করায় একাদ্বশ শ্রেনীর ছাত্র ফজলুল করিমকে কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ শামছুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টায় কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা বিষয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসের ভিতরে প্রবেশ করে একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ফজলুল করিম ছাত্রবেশি বর্হিরাগত জুবের আহমদকে নিয়ে গল্পগুজবে মেতে ওঠে। এ সময় ক্লাসরত একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করলে বহিরাগত জুবের আহমদ ও ফজলুল করিমসহ তাদের কয়েকজন সহযোগী উত্তেজিত হয়ে ক্লাসরত শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়ে উঠে। জুবের আহমদের হামলায় রক্তাক্ত আহত হন একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী তাহমিনা আক্তার। তাৎক্ষনিক তাকে কলেজের শিক্ষকরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনার পরই শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে কলেজ স্টাফ কাউন্সিলের এক সভা কলেজের অধ্যক্ষ শামছুল আলম মামুনের সভাপতিত্বে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্তক্রমে কলেজের ক্লাস রুমে সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সভায় একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ফজলুল করিম দ্বাদশ শ্রেনীর ক্লাস চলাকালীন সময়ে অনধিকার প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত থাকায় তাকে কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। রক্তাক্ত আহত শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তার উপর হামলার ঘটনায় জড়িত বহিরাগত জুবের আহমদ ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ফজলুল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কলেজের অধ্যক্ষ শামছুল আলম মামুন বরাবরে গতকাল বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ শামছুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বুধবার দ্বাদশ শ্রেনীর বাংলা ক্লাস চলাকালীন সময়ে সৃষ্ট ঘটনায় তাহমিনা আক্তার রক্তাক্ত আহতের প্রেক্ষিতে একাদ্বশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফজলুল করিম কে কলেজ থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে সার্বিক শিক্ষার সুষ্টু পরিবেশ বজায় রাখতে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহনে সকল শিক্ষক একমত পোষন করেছেন। বিষয়টি কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ কে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।