কমলগঞ্জে বাড়ছে পানি, ডুবছে ঘর-বাড়ি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৯:১৩,অপরাহ্ন ১৫ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ২৯৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী।
তাছাড়া উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের হকতিয়ারখোলা ও রহিমপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধে দুই জায়গায় নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় প্রায় ২০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া লাঘাটা ও ক্ষিরণী ছড়ার পানিও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেলে যেকোনো সময় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় কমলগঞ্জ পৌরসভা, রহিমপুর ও পতনঊষা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে বন্যা আক্রান্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন সাবেক চিফ হুইপ স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনুর রশীদ, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য দুই মেট্রিকটন চাল ও ২শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন জানান, ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙনের ফলে হকতিয়ারখোলা, কেওয়ালীঘাট, জালালপুর, বন্দরগাঁও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ঘোড়ামারা গ্রামে পুরনো ভাঙন দিয়েও পানি প্রবেশ করছে বলে জানান তিনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে রবিবার কমলগঞ্জ পৌর এলাকা ও রহিমপুরে বন্যাক্রান্তদের মধ্যে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ ও রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল।