নয়ন বন্ডের ‘লাশ’ নিবে না গ্রামবাসী, ‘আত্মীয়’ পরিচয় দিতে নারাজ স্বজনরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৪:০২,অপরাহ্ন ০২ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৭২৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: আলোচিত রিফাত হত্যার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের মরদেহ নিতে রাজি নন তার গ্রামের লোকজন। এলাকার লোকজন নয়নের আত্মীয় স্বজনকে তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে বলেছেন যেন গ্রামে তার দাফন করা না হয়। এতে বিপাকে পড়েছেন নয়নের আত্মীয়রাও। নয়নের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনার গুয়া বাশবাড়িয়া।
এদিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনায় জড়িত থাকায় নয়নের আত্মীয়রাও তাকে স্বজন হিসেবে পরিচয় দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গত বুধবার বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। এই হত্যার প্রধান আসামি একাধিক মামলার আসামি নয়ন বন্ড। গত রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নয়ন। এ ঘটনায় এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে। মিষ্টি বিতরণের ঘটনাও ঘটেছে।
নয়নরা মামাবাড়ি সূত্রে পরিবারসহ বরগুনায় বসবাস করলেও তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম সীমান্তে গলাচিপা উপজেলার ৮ নম্বর বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া বাশবাড়িয়া।
নয়ন মারা যাওয়ার পর ফেসবুক গ্রুপ ‘প্রাণের শহর, তিলোত্তমা বরগুনার’ পক্ষ থেকে বরগুনায় নয়নের দাফন করতে দেয়া হবে না বলে দাবি তোলা হয়। এতে বলা হয়, ‘কুখ্যাত খুনী নয়ন-বন্ডের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনায়। তার অপবিত্র লাশ। সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হোক। প্রানের শহর, তিলোত্তমা বরগুনার পবিত্র মাটিতে এই পাপীর লাশ দাফন করা, কোন অবস্থাতেই সমীচীন নয়। সে এই পবিত্র মাটির সন্তান নয়। প্রাণের শহরের জন্মলগ্ন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত, সবচেয়ে বড় জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে এই খুনী বন্ড।’
এদিকে বরগুনায় যখন এমন অবস্থা তখন নয়নের গ্রামের বাড়িতেও আপত্তির মুখে পড়তে হয়েছে।
জানাগেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নয়নের মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে ছিল। কারণ বরগুনার সর্বস্তরের মানুষ এখানে তাকে দাফন করতে আপত্তি জানিয়েছে। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মরদেহ হাসপাতালেই রাখা হয়েছে।
নয়ন বন্ডের চাচা লিটন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, নয়নকে আমি দেখিনি। ওর বাবা খুব ভাল মানুষ ছিলেন। বাড়ির সবাই নয়ন বন্ডের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। নয়ন বন্ডের ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের কারণে গ্রামের বাড়ির কেউই নয়ন বন্ডকে আত্মীয় পরিচয় দিতে চাচ্ছেন না।
ওই বাড়ির জাহাঙ্গীর মোল্লা ও জাহিদ মোল্লা বলেন, নয়ন বন্ড আমাদের কেউ না, ওরা বরগুনার বাসিন্দা। ওর বাবা বহু বছর আগে বাড়ি ছেড়ে বরগুনায় বসবাস করেন।
এদিকে নয়নের গ্রামের লোকজন নয়ন বন্ডকে যারা সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন।