জানাযা চলাকালে জামাত-শিবির ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৬:৫৩,অপরাহ্ন ২২ জুন ২০১৯ | সংবাদটি ৭১৭ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: চট্টগ্রাম কলেজ সংলগ্ন প্যারেড ময়দানে জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাযাকে কেন্দ্র করে জামাত-শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেলের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩ জন।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশী পাহারায় দ্রুত জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাযায় জামাত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি দেখে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জানাজা শুরুর ৫ মিনিট পূর্বে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের হামলায় জানাজা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবিকে রক্তাক্ত করে সড়কে দৌড়তে দেখা যায় পুলিশের সামনে হামলা হলেও নিরব নীরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ।
ছাত্রলীগের অভিযোগ, জানাযার অজুহাতে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেল গেইট সড়কে প্রকাশ্য মিছিল করে। এসময় বেশ কিছু মুখোশধারীদের মাঠ থেকে পাথর ছুড়তে দেখা গেছে৷ চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র বেলাল বলেন, শিবিরের ছেলেদের মুখে মাস্ক ছিল। জানাজা শেষে প্রথমে তারা ‘নারায়ে তকবির’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তবে পুলিশ কোনো ভূমিকা নেয়নি। পরে আমরা তাদের হাত থেকে ছাত্রদের বাঁচানোর জন্য দলবেঁধে যাই। এ ঘটনায় রাজু ও হযরত তালুকদার রাফি নামে দুই ছাত্র আহত হয়েছে জানান বেলাল।
কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, আমরা হামলা করিনি আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।
আইআইইউসি প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী শুক্রবার ভোরে ইন্তেকাল করেন। শনিবার বাদ জোহর প্যারেড ময়দানে তার তৃতীয় জানাজার আয়োজন করা হয়। সে মোতাবেক জানাজায় আসা লোকজনের সঙ্গে জামাত-শিবিরের নেতারা উপস্থিতি হলে কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা স্লোগান দিতে শুরু করে। এ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কলেজ ও প্যারেড ময়দানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে দ্রুত জানাজা সম্পন্ন করতে তাগাদা দেয়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) বলেন, জানাজা চলাকালীন সময়ে জামাত-শিবিরের নেতাদের উপস্থিতি দেখে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের সাথে ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে কথা কাটাকটিও হয়। তিনি আরো বলেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শেরে বাংলা হোস্টেলের সামনে এবং জানাযায় আসা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্যারেড ময়দানে ব্যারিকেডে রেখে জানাযা শেষ করা হয়।
এরপূর্বে মাওলানা মুমিনুল হকের জানাযা সকাল সাড়ে ৮টায় ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ১ম , আইআইইউসি ক্যাম্পাসে ২য় এবং সাতকানিয়া তুলাতলী হাইস্কুল মাঠে ৪র্থ জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা যায়।