অভাবের তাড়নায় দুই মেয়েকে হত্যা করেন বাবা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫০:৩৫,অপরাহ্ন ২৫ মে ২০১৯ | সংবাদটি ৪০৬ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: নরসিংদীর মেঘনা নদীর পাড়ের কাউরিয়াপাড়া লঞ্চঘাটের টয়লেট থেকে দুই কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযোগ না পাওয়ায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। তবে অভাবের কারনে দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে জানানা আটক পিতা শফিকুল ইসলাম। তবে শফিকুলের পরিবার বলছে তিনি মনসিক রোগে ভূগছেন।
শনিবার (২৫ মে) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে শিশু দুটির পিতা শফিকুল ইসলাম অভাব অনটনের কারণে দুই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু শফিকুল তার এ স্বীকারোক্তিতে স্থির থাকছেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, শফিকুল ইসলাম মাঝেমধ্যে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন থাকতেন বলে দাবী করছে তার পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় নিহত নুসরাত জাহান তাইন (১১) ও তানিশা তাইয়েবার (৪) পিতা মনোহরদীর পূর্ব চালাক চর গ্রামের শফিকুল ইসলামকে (৩৮)।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্য ও শফিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ডাক্তার দেখানোর জন্য পিতা শফিকুল ইসলাম দুই মেয়েকে শিবপুর উপজেলা সদরে নিয়ে যান কিন্তু সেখানে ডাক্তার না পাওয়ায় পরে তাদের নিয়ে নরসিংদী সদরে আসেন। এক পর্যায়ে দুই সহোদর বোন লঞ্চঘাট দেখতে চাইলে তাদের নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়া লঞ্চঘাটে নিয়ে যান পিতা শফিকুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শুক্রবার রাতে লঞ্চঘাটের টয়লেট থেকে পুলিশ কর্তৃক দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলেই নিহতদেরকে নিজের সন্তান দাবী করেন মনোহরদীর চালাকচরের শফিকুল ইসলাম। এসময় তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেয়া হয় এবং শিশু দুটি তার সন্তান বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।