এবার শহীদনগরে চুড়ি কারখানায় অগ্নিকান্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০০:২৯,অপরাহ্ন ২৪ মার্চ ২০১৯ | সংবাদটি ৬৬১ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: চকবাজারের চুড়িহাট্টার পর এবার পুরান ঢাকার শহীদনগরে একটি চুড়ির কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। চকবাজারের ঘটনায় ৭১ জনের প্রাণহানি ও কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও শহীদ নগরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে লালবাগের শহীদনগরে আমলী গলার ৬ নম্বর সড়কে আগুনের এ ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি চুড়ির কারখানা থেকে রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি। তদন্ত শেষে সব তথ্য জানা যাবে।
লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার হেলাল উদ্দিন বলেন, ৬ নম্বর সড়কের একটি চুড়ি ও কাগজের কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতেরও খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ৫-৬টি দোকান পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, চুড়ির কারখানা অথবা প¦ার্শবর্তী সিএনজি গ্যারেজ থেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে। যেহেতু কারখানায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মজুদ থাকে সে জন্য মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর অবৈধ কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে ফেলতে অভিযান চালায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরপরেও কেমিক্যাল সরায়নি কারখানাটি। এমনকি অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও জোরদার করেনি কারখানাটি। পুরান ঢাকাকে অগ্নিকাণ্ড থেকে মুক্ত করতে সব অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের আরো জোরদার ভূমিকা রাখার দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। ওই আগুন রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের মতো দাহ্য পদার্থের জন্য বেশি ছড়িয়েছিল বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। ওই ঘটনার পর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের গুদাম সরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি। পরে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্লাস্টিক দ্রব্য বাদ দিয়ে শুধু রাসায়নিকের কারখানা ও গুদাম সরানোর ঘোষণা দেন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন।