গ্রিসে আয়েবার প্রচেষ্টায় ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৬:১৬,অপরাহ্ন ১০ আগস্ট ২০২২ | সংবাদটি ৪০৭ বার পঠিত
ফারিয়া নূর, সরবোন ইউনিভার্সিটি, প্যারিস, ফ্রান্স: গ্রিসে আয়েবার দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফলে প্রায় ১৫ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশিকে বৈধকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি গত ২২ জুলাই ২০২২ তারিখে গ্রিক সংসদে অনুমোদন লাভের পর ইতোমধ্যে আইন আকারেও প্রকাশিত হয়েছে।
গত ২০১২ সালে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (আয়েবা) উদ্যোগে প্রথম গ্র্যান্ড কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরের ১ ও ২ ডিসেম্বর এথেন্সের অভিজাত প্রেসিডেন্ট হোটেলে আয়েবার কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রিক সরকারের তৎকালীন উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী নতিস মিতারাকি। আয়েবার প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ড. জয়নুল আবেদিনের উদ্যোগে আয়োজিত ওই কনভেনশনে নতিস মিতারাকি জানিয়েছিলেন তিনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন, যাতে দেশটিতে অনিয়মিত বাংলাদেশিদের বৈধ করার বিষয়ে সংসদে একটি বিল আইনে পরিণত করা যায়।
সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে ১০ বছর পর নতিস মিতারাকি এখন গ্রিসের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম মন্ত্রী অর্থাৎ অভিবাসন ও আশ্রয়ণবিষয়ক পূর্ণ মন্ত্রী। তিনি সম্প্রতি সরকারি সফরে ঢাকায় গিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের সাথে। সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সইও হয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে গ্রিসে বসবাসরত ১৫ হাজারের বেশি অনিয়মিত বাংলাদেশি নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
আয়েবার মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, “২০১২ সালের কনভেনশনে আয়েবার পক্ষ থেকে আমরা নতিস মিতারাকিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা গ্রিসেরই সম্পদ। বাংলাদেশিরা পরিশ্রমী জাতি। সততা ও আন্তরিকতায়ও বাংলাদেশিদের বিকল্প নেই গ্রিসের মাটিতে। নতিস মিতারাকি ওই সময় আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, যদি কখনো তিনি সুযোগ পান, তাহলে বাংলাদেশিদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সমগ্র বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে আমরা তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”
আয়েবার প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ড. জয়নুল আবেদিন বলেন, “১০ বছর আগে ওই কনভেনশনে এবং পরিবর্তী সময়ে আমাদের প্রচেষ্টায় আয়েবাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন এথেন্সে তখন দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক, পরবর্তীতে দায়িত্ব পালনকারী আরও দুই রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ ও জসীম উদ্দিন, বর্তমান রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদসহ গ্রিসপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠন। সবার প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। কেননা সবাই আমাদের কার্যক্রমে আন্তরিক ছিলেন বলেই ১০ বছর আগে আয়েবার রোপণ করা গাছে আজ ফুল ফুটেছে গ্রিসের মাটিতে। গ্রিস-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হোক, আরও ফলপ্রসূ হোক, আজকের এই সুসময়ে সেটাই কামনা করছি।”