রোগীর নামে নিবন্ধিত সিম দিয়ে প্রতারণা করতেন ডা. সাবরীনা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩১:০০,অপরাহ্ন ১৮ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৯৬৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: কিছুতেই যেন থামছে না কার্ডিয়াক স্পেশালিষ্ট ডা. সাবরিনার বন্দনা। যদিও একে বন্দনা বলা যায় না সমালোচনা বলাই বেশি শ্রেয়। গ্রেফতার হওয়ার আগ থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর পর্যন্ত তাকে নিয়েই মেতে আছে দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে প্রিন্ট মিডিয়া।
এদিকে, সাবরিনার প্রতারণার শেষ নেই এমনটাই জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্রটি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি এক রোগীর নামে নিবন্ধিত মোবাইল সিম ব্যবহার করে সেটি প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে আসছিলেন।
রিমান্ডে জানতে চাইলে সাবরিনার দাবি, ওই সিম কার নামে নিবন্ধিত তা তিনি জানতেন না। তবে পুলিশ বলছে, অন্যের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করা বড় ধরনের অপরাধ। কারণ এই সিম ব্যবহার করে বড় ধরনের অপরাধ করে তার দায় অন্যের ওপর চাপানো যায়। বিষয়টি যাচাই করতে সাবরিনার গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় এক বছর ধরে সাবরিনা এই সিম ব্যবহার করছেন। জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার আরিফুলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রিমান্ডে সাবরিনা দাবি করেন, দুই মাস আগে তাঁদের তালাক হয়ে গেছে।
পুলিশ জানায়, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার রোগীকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০টি প্রতিবেদন তৈরি করা হয় জেকেজি কর্মীদের ল্যাপটপে।
সরকারের কাছ থেতে বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নেওয়া এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ জালিয়াতি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদেরাগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীর মোবাইল ফোন চেক করে নানা ধরনের অনেক মেসেজ পেয়েছে পু’লিশ।
প্রতিটি মেসেজের শুরুতেই সাবরিনা নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান দাবি করেন বলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদকারী ঢাকা মহানগর পু’লিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন।
এ দিকে প্রতিনিয়তই সাবরিনাকে নিয়ে প্রকাশ হচ্ছে নানা ধরনের তথ্য। এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে তাকে নিয়ে বেশ সসালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে ট্রোলের শিকার হচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে তার রুপ আর সৌন্দর্য্য নিয়েই সব থেকে বেশি আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।