নির্বাচনে চীনের সাহায্য চেয়েছেন ট্রাম্প, জানালেন সাবেক উপদেষ্টা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৩:৫৯,অপরাহ্ন ১৮ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৪৫২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা জন বল্টন এবার বিস্ফোরক তথ্য হাজির করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন, এ বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন ট্রাম্প। বিনিময়ে তিনি চীনের ‘ডিকটেটরদের’ সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন।
‘দ্য রুম হোয়ার ইট হ্যাপেন্ড: এ হোয়াইট হাউজ মেমোইর’ শীর্ষক বইয়ে এসব লিখেছেন জন বল্টন। সেখান থেকে অংশবিশেষ প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টে।
দীর্ঘদিনের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক ঝানু ব্যক্তিত্ব জন বল্টন। কিন্তু মতভেদের কারণে গত সেপ্টেম্বরে তাকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। বল্টন তার বইয়ে লিখেছেন, নির্বাচনে জিতিয়ে দেয়ায় সহায়তার বিনিময়ে ‘ডিকটেটরদের’ বিরুদ্ধে ফৌজদারি অনুসন্ধান স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এরই মধ্যে বইটির প্রকাশনা বন্ধ করতে মঙ্গলবার মামলা করেছে মার্কিন সরকার।
এতে অভিযোগ করা হয়েছে, বইটিতে অনেক ক্লাসিফায়েড বা অফিসিয়াল সিক্রেট তথ্য রয়েছে। এসব প্রকাশ হওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে শুক্রবার। সব মিলে এটাকে দেখা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি তার শীর্ষ উপদেষ্টাদের একজনের তরফ থেকে একটি বড় আঘাত হিসেবে।
গত বছর ডেমোক্রেটিক দল নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করে তার চেয়েও বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে বল্টনের এই অভিযোগকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির শুরুতে সব অভিযোগ থেকে বেকসুর দায়মুক্তি দিয়েছে রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন সিনেট। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ডেমোক্রেট দল থেকে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর তথ্য সরবরাহের জন্য চাপ দিয়েছিলেন ইউক্রেনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে। ওই দেশটিকে দেয়া সামরিক সহায়তার বিপুলি পরিমাণ অর্থ স্থগিত করেছিলেন তিনি। জন বল্টন লিখেছেন, যদি ২০১৯ সালে ইউক্রেনে সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে ডেমোক্রেটিকরা অতোটা আচ্ছন্ন না হতে, তারা যদি পুরো পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রাম্পের ধারাবাহিকতা অনুসন্ধানে আরো সময় নিতে, তাহলে অভিশংসনের ফল ভিন্ন হতে পারতো।