করোনা যুদ্ধে শহীদ হলেন আরও দুই পুলিশ সদস্য!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৯:৪৮,অপরাহ্ন ৩০ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৪৩৪ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পুলিশের আরও দুই সদস্য।
তারা হলেন- ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত এসএসআই আব্দুল খালেক (৩৬) এবং ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করা কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২)।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তারা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ।
ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. সাইফুল হক জানান, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আশেক মাহমুদ বুধবার রাতে মারা গেছেন।
ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল মালেক জানান, প্রাথমিকভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর এএসআই আব্দুল খালেককে আরামবাগে একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেয়া হয়। বুধবার তার করোনার পরীক্ষার নমুনা পাঠানো হয়। রিপোর্টে তার করোনায় পজিটিভ আসে। এদিন বিকেল থেকে আব্দুল খালেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন কোয়ারেন্টাইনে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুল খালেকের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে। তার বাবার নাম আজিম উদ্দিন মৃধা।
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, শান্ত, বিনয়ী, দায়িত্বপরায়ন ও কর্তব্য পালনে নিরলস, নিরহংকার, সদা হাস্যোজ্জল স্বভাবের ছিলেন এএসআই আব্দুল খালেক। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
অন্যদিকে ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরের সহকারী কমিশনার (এডমিন) বদরুল হাসান জানান, ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মারা যান।
তিনি বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তাকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুলিশ তত্ত্বাবধানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টারে রাখা হয়। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে।
বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। তার বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়।
এর আগে ডিএমপির ওয়ারী থানার কনস্টেবল জসিম উদ্দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ২৮ এপ্রিল রাতে মৃত্যুর পর ২৯ এপ্রিল সকালে তার করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
পুলিশ সদর দফতরের দেওয়া হিসাবে, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা ৩৩৬। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন এমন সংখ্যাই বেশি।