করোনা কিট পরীক্ষার খরচ দেবে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১৯:২৭,অপরাহ্ন ২৭ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ২৩২২ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপস্থিতি শনাক্ত করতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ কিট অনুমোদনের আগে রয়েছে কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) ধাপে। এ পর্যায়ে এই কিট পরীক্ষা (ইভ্যালুয়েশন) বা সিআরও করতে যে খরচ প্রয়োজন হবে, তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দেবে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন। এ বিষয়ে দুই প্রতিষ্ঠান ঐকমত্যেও এসেছে।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দু’জনই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, এরই মধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অধিদফতর আমাকে জানিয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যদি চিঠি দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গেই সিআরও’র ব্যবস্থা করে দেবেন। যেকোনো গবেষণার সিআরও’র জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের খরচ অনুমতির অপেক্ষায় থাকা প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হয়। এক্ষেত্রে ড. জাফরুল্লাহ’র গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে ডট ব্লোট কিট, সেটি পরীক্ষার সিআরও’র আর্থিক বিষয় আমরা সুচিন্তা ফাউন্ডেশন থেকে জোগাড় করে দেবো।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশে এই গবেষণামূলক কাজগুলোর জন্য সিআরও হিসেবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তাদের গবেষণা ও মান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এক্ষেত্রে যদি গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবনটি আইসিডিডিআরবি’তে মূল্যায়ন ও ট্রায়াল করা হয়, সেটা দেশের মানুষেরই উপকারে আসবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে জানিয়ে এ আরাফাত বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে। তাকে আমি এ বিষয়ে জানিয়েছি। তিনি রাজি হয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ. আরাফাতের আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি বলেছেন। সিআরও হিসেবে আইসিডিডিআরবি’তে পরীক্ষার বিষয়েও কোনো আপত্তি নেই বলে জানান ড. জাফরুল্লাহ।
এর আগে ডা. জাফরুল্লাহ অভিযোগ করেছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের কিটের অনুমোদনের জন্য সিআরও করিয়ে আনতে বললেও তার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা স্পষ্ট করে বলেনি। কিছু ব্যবসায়ীর স্বার্থে কাজ করার কারণে অধিদফতর তাদের কিট গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে ডা. জাফরুল্লাহর এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন কোভিড-১৯ ডট ব্লোট কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল।