করোনা আতঙ্ক দেশে দেশে – ইতালি
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৮:০৪,অপরাহ্ন ১২ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৫৪৫ বার পঠিত
আনোয়ার শাহজাহান :: ইতালির মোট আয়তন ৩,০১,৩৩৮ বর্গকিলোমিটার (১,১৬,৩৪৭ বর্গমাইল)। দেশের চারিদিকে রয়েছে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেিয়া, স্লোভানিয়া এবং ভূমধ্যসাগরের কিছু দ্বীপ।
ইতালি জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে বর্তমানে ২৩তম অবস্থান। ২০১৮ সালের হিসেব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ছিল ৬ কোটি ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪৬ জন।
প্রথম রোগী সনাক্তঃ
৩১ জানুয়ারি ইতালির রাজধানী রোমে দু’জন চীনা পর্যটক করোনায় সনাক্ত হন। তাঁরা চীনের উহান শহর থেকে ইতালিতে এসেছিল বলে ইতালি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সংবাদ মাধ্যমকে জানায়। বিবিসি।
করোনা আতঙ্ক দেশে দেশে – ইতাল
১২ এপ্রিল ২০২০
আনোয়ার শাহজাহান
ইতালিতে প্রথম মৃত্যুঃ
ইতালির পাদুয়া শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃতের ঘটনা ঘটে ২১ ফেব্রুয়ারি। ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা বলেন, ইতালির পাদুয়া শহরে একটি হাসপাতালে ৭৮ বয়সী এক বৃদ্ধ অসুস্থতার জন্য গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালে ছিলেন। ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তি ভেনেটা অঞ্চলে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়া দুই ব্যক্তির একজন ছিলেন।
এর পরপরই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ১০টি শহরে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে সব স্কুল, কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনার পর পরই ওই অঞ্চলের মানুষকে তাদের নিজ বাসভবনে থাকতে বলা হয়। নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান-কার্যক্রম।
ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যুঃ
২০ মার্চ শুক্রবার মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে ইতালির মিলানে ৬০ বছর বয়সী গোলাম মাওলা নামের এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এটি ছিল করোনায় প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।
জানা গেছে, গোলাম মাওলা ইতালির মিলান ট্রেন স্টেশন সংলগ্ন ভিয়া সেত্তেমব্রে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এখানেই তিনি দীর্ঘদিন বিজুত্তেরিয়ার (সিলভার, এমিটি সোনার গহনা) ব্যবসা করতেন। দু’সপ্তাহ আগে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যান। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় নিগুয়ারদা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ মার্চ শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের পুরো পরিবারকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। গোলাম মাওলার বাংলাদেশে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ।
সর্বশেষঃ
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি তথ্যানুসার, ১১ এপ্রিল ৪,৬৯৪ জন আক্রান্ত এবং ৬১৯ জন মারা যান। এর আগের দিন শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল, আক্রান্ত ৩৯৫১ জন এবং নিহত ৫৭০ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের পরেই ইতালির (৩য়) অবস্থান এবং মৃত্যুর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। সর্বশেষ (১১ এপ্রিল ২০২০) হিসেবে ইতালিতে ৩২,৫৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন এবং শতকরা ৩৭ ভাগ রোগী মারা যাচ্ছেন।
করোনা আতঙ্ক দেশে দেশে- ইতালি
১২ এপ্রিল ২০২০
#আনোয়ার_শাহজাহান
লন্ডন।