খাটিয়া মিলেনি, বাবা-ভাইয়ের কাঁধে শ্রমিকের লাশ!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৬:৪০,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০২০ | সংবাদটি ৫৫৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনা সন্দেহে মারা যাওয়া এক শ্রমিকের লাশ বহনে খাটিয়া (করাল) দেয়নি মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়রা।
খাটিয়া না পাওয়ায় পিতা ও দুই ভাই কাঁধে করে কবরে লাশ নিয়ে যাওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বখতারপুর গ্রামে।
নিহত শ্রমিক জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে মারা যান। তবে তার শরীরে করোনা সংক্রামক ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
জানাগেছে, মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টায় ঐ শ্রমিক মারাজান। পরদিন বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যবিভাগ।
নিহতের দুই ভাই ও বাবা লাশ বহনের জন্য মসজিদের খাটিয়া চেয়েও পাননি। মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনসহ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনুমতি না মিলায় খাটিয়া ছাড়াই দুই ভাই ও বাবা কাফনে মোড়ানো হতভাগা যুবকের মরদেহ কাধে তুলে গোপনে দাফন করেছেন।
এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই সংকটে মানুষের অনুভূতি লোপ পাওয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন মানবিক মানুষেরা। তবে গোর দাফনের সময় থানা পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা গ্রামের মানুষের ক্ষোভের মুখে অসহায় ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ২২ বছর বয়সী ঐ যুবক নরসিংদীতে একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মৃত্যুর পর পর ওই যুবকের পরিবারসহ তার পাড়া এবং তার লাশ দেখতে আসা দোয়ারাবাজার সদরের মাঝের গাঁওয়ের দুই স্বজন ও তাদের পরিবারকে লকডাউনে রেখেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার তার নমুনা সংগ্রহের ফলাফলে করোনা উপসর্গ ছিলনা বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। তবে এখনো স্থানীয়ভাবে ফলাফল এসে পৌছেনি।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, আমরা দাফনের সময় উপস্থিত ছিলাম। তবে গ্রামের লোকজন মসজিদের খাটিয়া লাশ বহনে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় ভাই ও বাবা কাধে নিয়ে লাশ দাফন করেছেন।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ শামসুদ্দিন বলেন, আমরা নমুনা পাঠিয়েছি। তবে এখনো আমাদের হাতে এসে ফলাফল পৌছেনি।