গ্রাম থেকে শহর জনশূন্য, ঘরবন্দি সবাই!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৬:১৫,অপরাহ্ন ২৭ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৬২৫ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। বিনা প্রয়োজনে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব গণপরিবহন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসেছে চেকপোস্ট।
বিনা কারণে বের হলে জবাবদিহি করতে হচ্ছে প্রশাসনকে। হোম কোয়ারেন্টাইন নির্দেশনা না মানলে দেওয়া হচ্ছে শাস্তি। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর ২৯০টি দল দেশের ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে। বাইরে কোনো ক্যাম্প স্থাপন না করে স্থানীয় সেনানিবাসগুলো থেকেই এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণকে উৎসাহিত করছে। পাশাপাশি তারা বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে সারা দেশে এই কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর আড়াই হাজারের অধিক সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে সারাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে যায় প্রশাসন। এতে রাস্তাঘাট কার্যত ফাঁকা হয়ে পড়ে। মুদিদোকান, কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের দোকানপাট।
অনেক এলাকায় বিনা প্রয়োজনে লোকজনকে রাস্তায় বের হওয়ায় পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। যারা বিনা কারণে বের হয়েছেন তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আবার অনেককে পুলিশের ধাওয়ার শিকার হতে হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের ৬১ জেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে নিয়মিত রেকি করেছে।
ঢাকা: বৃহস্পতিবার রাজধানীর সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। এ যেন এক অচেনা ঢাকা শহর।
প্রতিদিন যেখানে লাখো মানুষের পদচারণে মুখরিত থাকত ঢাকার রাজপথ, সেখানে বৃহস্পতিবার রাস্তায় লোকজন খুঁজে পাওয়াই ছিল দুষ্কর। ছিল কেবল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল। অন্যান্য ছুটির দিনে ঢাকার কিছু ট্রাফিক মোড়ে গাড়িগুলোকে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।
কিন্তু বৃহস্পতিবার ঢাকার সড়কে ছিল না কোনো ট্রাফিক পুলিশ। ছিল না ট্রাফিক জ্যাম। কারণ, সড়কে প্রশাসনের গাড়ি, দু-একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও জরুরি সেবায় ব্যবহৃত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো পাবলিক পরিবহনই ছিল না। দু-একটি রিকশা চলাচল করলেও তারাও ছিল যাত্রীসংকটে। এ ছাড়া প্রতিটি মোড়ে পুলিশের অবস্থান ছিল। সকালে কাঁচাবাজারে কিছু মানুষ কেনাকাটা করতে এলেও তারাও পুলিশের জেরার মুখে পড়েছেন।
রাজধানীর বড় সড়কগুলোর এমন চেহারা এর আগে কখনো দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন নাগরিকরা। এসবের মাঝেও অনেকে রাজধানী ছাড়তে বাস টার্মিনালে গিয়েছিলেন। তবে পরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের ফিরে আসতে হয়েছে নীড়ে। এ ছাড়া বন্ধ ছিল লঞ্চ ও রেল চলাচল।
কেরানীগঞ্জ: ঢাকার কেরানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসানের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর দলটি উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে মালঞ্চ, খোলামোড়া বাজার, আঁটি বাজার, কলাতিয়া, রুহিতপুর, জিনজিরাসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবার থেকে আর্মির পেট্রল ডিউটিতে ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে আর্মির একটি সেকশন দল মাঠে সক্রিয় ছিল।
পেট্রল (টহল) পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উবায়দুর রহমান সাহেল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
এ সময় কিশোরগঞ্জ সদর, নীলগঞ্জ বাজার এবং জামালপুর বাজার এলাকায় হ্যান্ডমাইকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি নির্দেশনা ঘোষণা করা হয় এবং জনগণকে ঘরে থাকার এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোতে অনুরোধ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি জানান, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কিশোরগঞ্জ জেলায় বিদেশ থেকে আগতদের আবশ্যিকভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয়সহ সবরকম সভা, সমাবেশ ও গণজমায়েত বন্ধ করা, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সার্বিক পরিস্থিতিতে অধিকতর সুরক্ষার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর গৃহিত করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পর্যালোচনা ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ অবস্থায় জনগণকে আবারও সচেতন করা হচ্ছে যে- কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরিসেবা ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। জরুরি প্রয়োজন যেমন খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, চিকিৎসা, মৃতদেহ সৎকার ছাড়া কোনভাবেই বাড়ির বাইরে আসবেন না। গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। অসুস্থ, জ্বর, সর্দি-কাশি আক্রান্তরা মসজিদ বা উপাসনালয়ে যাবেন না। নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন। ‘যার যার ঘরে থাকুন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগরীতে বৃহস্পতিবার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকালে কিছু মানুষ অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই নগরীর রাস্তায় যানবাহন তো ছিলই না, এমনকি মানুষের স্বাভাবিক চলাচলও অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কে চলছে কেবল প্রশাসন ও জরুরি প্রয়োজনের কাজে নিয়োজিত গাড়ি। এ ছাড়া জরুরি পণ্যের দোকানপাট খুললেও সেখানে লোক সমাগম ছিল একেবারে কম।
কক্সবাজার: কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এ কারণে পুরো শহর ফাঁকা হয়ে গেছে। কোথাও কোনো যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। স্থানীয় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা কাজ করছেন। তারা মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ ও বাইরে অবস্থানরত লোকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেন।
জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশের মতো কক্সবাজারেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর রামুর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।’
সিলেট: বৃহস্পতিবার সিলেটে অনেকটা আতংকের মধ্যে পার করেছে সকল পেশার মানুষ। যেমন শহর তেমন গ্রামের মানুষের মাঝেও ছিল অনেকটা আতংক। সিলেটে সারা দিন দোকানপাট ছিল বন্ধ। সরকারের আহবানে মানুষ বাসাবাড়িতে অবস্থান করেছেন। সচেতন মহল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সকাল থেকে সিলেটে জনসচেতনতা তৈরী করতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। করোনা বিষয়ে মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব তৈরী করতে তারা মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন। শুধু শহর নয় গ্রামগঞ্জে গিয়েও তারা মানুষকে সচেতন করে তুলতে টইল দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া পুলিশ প্রশাসনও জনগণকে করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতন করে তুলতে মাইকিং করতে দেখা যায়।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ ও সেনিটাইজার দিতে দেখা যায়। এছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নগরীর পাড়ায় পাড়ায় জনসচেতনতার মাইকিং ছিল চোখে পড়ার মত।
সিলেটের মানুষ করোনা আতংকে তেমন ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। মানুষকে স্বেচ্ছায় লক ডাউনের পথে এগুতে দেখা যায়।
সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও গণপরিবহন ছিল বন্ধ। সরকারের আহবানে সিলেটের মানুষদের বাসাবাড়িতেই অবস্থান করতে দেখা যায়। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া রাস্তাঘাটে তেমন কোন মানুষ দেখা যায়নি। মুদি দোকান, তরকারি, ফার্মাসি ও মানুষের একান্ত জরুরী ছাড়া সকল ধরণের দোকান ছিল বন্ধ। রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও বেশীরভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
ব্যক্তিগত গাড়ী, ঔষধ, খাবার ডেলিভারির গাড়ী ও ট্রাক চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধ না থাকলেও এসব গাড়ীর চলাচল ছিল খুবই কম। শহরে রিকসা ও মটর সাইকেল চলাচল ছিল খুবই সীমিত। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে এক রিকসা চালক বলেন, সকাল থেকে বের হয়েছি রিকসা নিয়ে। কিন্তু রাস্তাঘাট ফাঁকা। তাই যাত্রীও নেই তেমন।
দেশে জরুরী অবস্থা জারীর পর সিলেট শহরকে এভাবে নীরব নিস্তব্দ দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমানে জরুরী অবস্থা জারী না থাকলেও সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার অংশ হিসেবে শহরকে রেখেছেন এক নিরিবিলি পরিবেশ। এ যেন এক শান্ত সিলেট। সরকার করোনা মোকাবেলায় সবাইকে ঘরে থাকার আহবান করলে সিলেটের মানুষ এটাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর লেবুখালী শেখ হাসিনা সেনানিবাস থেকে বৃহস্পতিবার সকালে দুটি গাড়ি করে ঝালকাঠিতে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর এ দলটি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হয়। জেলা শহরের বাজার রোড, লঞ্চঘাট, ব্র্যাক মোড়, কলজ মোড়, সাধনার মোড়, চাঁদকাঠী মোড়সহ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে টহল দেন সেনাসদস্যরা।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামালের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী মাঠে।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। নড়িয়া উজেলায় ইতালিপ্রবাসী বেশি হওয়ায় সেখানেও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টিম কাজ করছে। করোনা মোকাবিলায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা পুলিশকে পিপিই হস্তান্তর করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আবদুর রশিদ জানান, জেলায় ৩৪৬ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছেন ও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ করায় ২৩ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
নাটোর: নাটোরে জরুরি প্রয়োজনে একজনের বেশি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলাজুড়ে পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জরুরি প্রয়োজনে দুইজন একসঙ্গে না চলার পরামর্শ দিশেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্যই এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত।