সেই নিস্পাপ শিশুটির কান্না বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৩:১৫,অপরাহ্ন ২১ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ১৬৩৮৩ বার পঠিত
আমাদের প্রতিদিন ডেস্ক:: ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস অনেকের হৃদয়ে হাহাকারের প্রতিধ্বনি তুলছে অবিরাম। মানুষ কতোটা পাষাণ হলে সইতে পারে এমন রোদন! কতোটা কঠিন হলে চোখের পানিতেও হাসতে পারে হায়েনার হাসি!
বিশ্বমোড়লরা দেশে দেশে যুদ্ধ করে হাজার-কোটি প্রাণ হরণেও গর্বের হাসি হাসতে জানে। কিন্তু বিবেকবান মানুষের মন এসব অত্যাচারে…আর্দ্র হয়, চাপা কান্নায় মরে কিন্তু বুক ফুলিয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না।
একটা রক্তাক্ত শিশুর কান্নায় ভারাক্রান্ত হয়েছিল মানুষ। সামাজিক মাধ্যমে শিশুটিকে নিয়ে স্ট্যাটাসটি পড়ে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেনি অনেকে।
সিরিয়ার তিন বছরের এক যুদ্ধাহত শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বলেছিল ‘আমি আল্লাহকে বলে দিবো, তোমরা আমার প্রতি অন্যায় করেছো’।
সে কান্না স্তব্দ করে দিয়েছিলো শান্তির নামধারী অশান্ত বিশ্ব মোড়লদের। সিরিয়ান এই শিশুটি সভ্যতা, যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব, আদর্শ- এগুলো হয়তো পরিষ্কার করে বুঝতে পারেনি। কিন্তু তার ‘বিশ্বাস’ কতো প্রবল! ‘আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!’ সে নিশ্চিত সে আল্লাহর কাছে ফিরে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়; আল্লাহর কাছে সে নালিশ করবে!
বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারি। প্রতিবাদের পোট্রোট হয়ে যাওয়া সে শিশুর বিচারের জন্য যেনো মহান আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এমন প্রাণঘাতি রোগ। ধর্মপ্রাণ অনেকের ধারণা, নিস্পাপ সে শিশুর কান্না পৌঁছে গিয়েছে মহান আল্লাহর দরবারে।
পৃথিবীর কেউ সিরিয়ার এ রক্তখেলার বিষয়ে মাথা না ঘামালেও আল্লাহ তার বিচারে ঠিকই আসামী চিহ্নিত করেছেন। তাইতো বিশ্বের পরাক্রমশালী দেশগুলো কাঁপছে মহামারী সংক্রমণে। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল।
অনেকেই বলছেন, পৃথিবীর কারো কাছে সে অভিযোগ করেনি শিশুটি। কারো কাছে সে তাকে মারার বিচার চায়নি। সে জানে এবং সবাইকে জানিয়ে দিয়ে গেল- এই আদর্শহীন একচোখা বিবেকহীন বিশ্বের কাছে মুসলিমদের কিছু চাইতে নেই।
এ এমনই এক বিশ্ব যেখানে মানবাধিকারের ডেফিনিশনই নির্মিত হয় কিছু মানুষকে ‘অমানুষ’ বিবেচনা করে। তাইতো শিশুটি যারা তাকে মেরেছে, শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে যারা তাকে রক্তাক্ত করেছে, যারা তার আদর্শকে আদর্শ দিয়ে প্রতিহত না করে বুলেট ছুড়ে মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে সে আল্লাহর কাছে নালিশ করবে। এছাড়া আর কীইবা করার ছিলো ছোট্ট এই শিশুটির! কিন্তু মহান দয়ালু আল্লাহ হয়তো তার আদালতে উপযুক্ত বিচারটি রেখেছিলেন পৃথিবীবাসির জন্য। (তথ্যসূত্র: অনলাইন)।